জুবিন গর্গের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন সাধারণ মানুষ। গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার তাঁর দেহ কফিনবন্দি হয়ে ফেরে গুয়াহাটিতে। প্রয়াত গায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাস্তায় মানুষের ঢল ছিল দেখার মতো। মঙ্গলবারই জুবিনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গ গায়কের অসম্পূর্ণ কাজ ও গায়কের শেষ সিনেমা শেষ করা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গরিমা বলেন যে জুবিন তাঁর ছবি 'রোই রোই বিনালে' নিয়ে খুবই আবেগপ্রবণ ছিলেন, যা ৩১ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
জুবিনের মৃত্যুশোক কাটানোর সময়টুকু স্ত্রী গরিমার নেই। তাঁর হাতে রয়েছে প্রয়াত স্বামীর অসম্পূর্ণ কাজ। গরিমা বলেন, 'এই মুহূর্তে, এটাই আমার জীবনের প্রধান লক্ষ্য। আমরা একটা সিনেমা তৈরি করেছি, যেটা জুবিনের শেষ কাজ আর এই কাজের প্রতি ওর নিষ্ঠা ছিল দেখার মতো। জুবিন পরিকল্পনা করেছিল যে ৩১ অক্টোবর এই সিনেমাটি মুক্তি পাবে। তাই হয়তো এখন আমাদের তার চিন্তাভাবনা অনুযায়ী ছবিটি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।' গরিমা স্বীকার করেন যে এই ছবিতে জুবিনের চরিত্রের জন্য তাঁর গলা ডাবিং না করা সবচেয়ে বড় আক্ষেপের বিষয়।
গরিমা বলেন, 'আমরা এই ছবির জন্য কাজ করছিলাম আর কোথাও যেন একটা আক্ষেপ রয়েই গেল যে ডাবিংটা সম্পূর্ণ হল না। জুবিন এই ছবিতে একেবারে অন্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আর ওর আওয়াজটাই ডাবিং হয়নি। জুবিন এই ছবিটি নিয়ে দারুণ উৎসাহিত ছিল। জুবিন ছবিতে এক অন্ধ শিল্পীর চরিত্রে অভিনয় করেছে। এটা প্রেমের গল্প হলেও গান রয়েছে প্রচুর। দর্শকেরাও এই ছবিটিকে পছন্দ করবেন বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু জুবিনের কন্ঠ ডাবিং করতে না পারায় এই একটাই ত্রুটি থেকে যাবে ছবিটিতে।' গরিমা আরও বলেন, 'এটা ছাড়া গান ও অন্যান্য বিষয়গুলির কাজ হয়ে গিয়েছে, শুধুমাত্র ছবির নেপথ্যের সঙ্গীত, যেটা জুবিন সম্পূর্ণ করে যেতে পারেনি। ছবির পোস্ট-প্রযোজনার কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার থেকেই কাজ শুরু করে দিতে পারব।'
গরিমা জানিয়েছেন তাঁর স্বামীর অসম্পূর্ণ কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এখন তাঁরই দায়িত্ব। তিনি বলেন, এটা আমা দ্বিতীয় অগ্রাধিকার এবং দ্বিতীয়ত জুবিনের যাই পরিকল্পনা থাকুক না কেন, সে আমার সঙ্গেই ভাগ করে নিত, তাঁর সব ইচ্ছেগুলোকে পূরণ করার চেষ্টা করব। আমাদের এবং ছোটদেরও তাঁর উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্বামী জুবিনকে হারানোর শোক সত্ত্বেও গরিমা গায়কের শেষ কাজটি সম্পন্ন করতে এবং তাঁকে এর মাধ্যমে সম্মান জানাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জবিবন গর্গের ভক্তরা পর্দায় তাঁর শেষ অভিনয় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আসেন।