ক্ষত কিছুটা হলেও সেরেছে। দেবের ভালোবাসার মলমে বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক রীতিমতো আপ্লুত। বিনোদন জগতে সহকর্মী তো বটেই রাজনৈতিক আঙিনাতেও দেব-কাঞ্চন তৃণমূলের যোদ্ধা। সেই কাঞ্চন মল্লিককেই অপমানিত হতে হয়েছিল শ্রীরামপুর কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কিন্তু সেই অপমান এখন অতীত। দেবের ডাকে ঘাটাল কেন্দ্রে হাসিমুখে প্রচার চালালেন কাঞ্চন মল্লিক। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই লাইক-কমেন্টের বন্যা।
এদিন ঘাটাল কেন্দ্রে কেশপুরের মোহনপুর এলাকায় দেবের হয়ে প্রচার চালান কাঞ্চন মল্লিক। সকালের কাটফাটা রোদে দেবের সঙ্গে একসঙ্গে বেরিয়ে জনসংযোগ সারলেন কাঞ্চন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পুরোটাই দেবের সঙ্গে প্রচুর জায়গায় জনসংযোগ সারতে দেখা যায় তাঁদের। কাঞ্চন এদিন তাঁর ও দেবের প্রচারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কাঞ্চন ক্যাপশনে লেখেন, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ হিসাবে দেবের হ্যাটট্রিক কামনা করি। অপরদিকে দেবও কাঞ্চনকে সঙ্গে নিয়ে একফ্রেমে ছবি শেয়ার করেন। আর অন্যান্য ছবির ক্যাপশনের মতোই দেব চিরাচরিত ক্যাপশন এমনি লেখেন। তবে অনেকেই মনে করছেন দেবের এই ছবি শেয়ারের মাধ্যমেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উচিত জবাব দিয়েছেন দেব।
এদিন দেব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি গোটা ঘটনাটা টিভিতে দেখেছি। আমার মনে হয়েছে, পুরো বিষয়টা যেভাবে হয়েছে, ঠিক হয়নি। একজন প্রার্থীর নিশ্চয়ই অধিকার আছে তাঁর গাড়িতে কে থাকবেন আর কে থাকবে না, তা ঠিক করার। কারণ দিনের শেষে ভোটটাই আসল বিষয়। আমার মনে হয়,কাঞ্চন মল্লিক যদি আমার প্রচারে থাকেন, তাহলে আমার ভোট বাড়বে।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শ্রীরামপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। কিন্তু সেখানে তাঁকে রীতিমত অপমান করেন কল্যাণ। অভিনেতাকে এক প্রকার বাধ্য করা হয় প্রচার গাড়ি থেকে নেমে যেতে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, কাঞ্চনকে দেখে গ্রামের মহিলারা নাকি রিঅ্যাক্ট করছেন। এরপরই এক জনসভা থেকে দেব কাঞ্চনকে তাঁর প্রচারে আসার জন্য ডাকেন। আর দেবের ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার ঘাটালে পৌঁছে যান কাঞ্চন মল্লিক।