আজ ১৬ জুন), এমন এক মেগাস্টারের জন্মদিন, যাকে এই দেশ তথা গোটা বিশ্ব চেনে। অনেকে তাঁকে ডিস্কো ড্যান্সার নামে ডাকে। অন্যদিকে বাঙালিদের কাছে তিনি পরিচিত মহাগুরু কিংবা ফাটাকেষ্ট নামে। ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের ছবি 'মৃগয়া' দিয়ে অভিনয়ের যাত্রা শুরু। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করে, জাতীয় পুরষ্কার অর্জন পান। এরপর 'জল্লাদ', 'টাইগার', চিতা, 'এমএলএ ফাটাকেষ্ট'-র মতো একগুচ্ছ সুপারহিট ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বর্তমান সময়ের প্রথম সারির অভিনেতা দেব, জিৎ, যীশুদের সঙ্গে বহু কাজ করেছেন তিনি। কথা হচ্ছে অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) নিয়ে।
কেরিয়ারে তিনশোর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন। উঠেছেন সাফল্যের শিখরে। কিন্তু অনেকেরই অজানা, কেরিয়ারে বহুবার সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। মহাগুরুর জন্মদিনে চলুন জানা যাক, তাঁর কিছু অজানা তথ্য।
কেরিয়ারে শুরুতেই জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু গায়ের রং শ্যামবর্ণ হওয়ার জন্য, এক সময় বহু কটূকথা শুনতে হয়েছে তাঁকে। তবু হার না মেনে প্রমাণ করেছেন যে, গায়ের রং নয়, অভিনয়ই একজন অভিনেতার শেষ কথা।
নিজের কেরিয়ারে একটি বি-গ্রেড ছবিতেও অভিনয় করেছেন মিঠুন। এই নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন তাঁর ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী। মিঠুন পুত্র জানান, দারিদ্রতার কারণে, নিজের পরিবার ও উটির হোটেল বাঁচাতে বাধ্য হয়ে এই কাজ করেছিলেন তাঁর বাবা।
গত ডিসেম্বরে মুক্তিপ্রাপ্ত মিঠুন ও দেবের ছবি 'প্রজাপতি' নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। রাজনৈতিক মতভেদের কবলে পড়ে এই ছবি। যা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। তবু বক্স অফিসে ঝোড়ো ব্যাটিং করে 'প্রজাপতি'। বলাই বাহুল্য বহু বাংলা ছবির বক্স অফিসের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছে এই ছবি। মুক্তির ২৫তম দিনে সংবাদিকদের মিঠুন বলেন, "প্রজাপতি হইহই করে চলছে। দর্শকদের পছন্দ হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে বড় পাওনা। নবীনা, পূরবী এই সব হলে ছবি দেখে বড় হয়েছেন। তাই নন্দন আলাদা কিছু নয়। তবে নন্দনের কমিটিতে কারা আছেন, আমি জানতে চাই। যাঁরা অনীক দত্তের ছবি, 'প্রজাপতি'-র মতো ছবি বাতিল করে। নিশ্চয়ই তাঁদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "ছবিটা ভাল ভাবে চলছে, এটাই খুশির খবর। তাই কাউকে কোনও রকম ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। তবে হ্যাঁ, কেউ ভেবেছিলেন দেবকে ভয় দেখাবেন। দেবকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কারণ তিনিই এখন ঐ পার্টির শেষ কথা। কিন্তু দেব ভয় না পেয়ে অভিনেতা হিসেবে উত্তর দিয়েছে। আর দর্শক যারা ভেবেছিল পরে দেখবে, তারা প্রথম সপ্তাহেই দেখেছে আর তারপর মুখে মুখে এই ছবির প্রচার করেছে। এটা অশনি সংকেত। মানুষেরা আস্তে আস্তে জাগছে, উত্তর দিচ্ছে।"
তথ্য সৌজন্য: আর্যতীর্থ গঙ্গোপাধ্যায় (শিক্ষানবীশ)