যাঁর কণ্ঠে এক সময় গোটা বাংলা মেতে উঠেছে, শেষ বয়সে কথাও বলতে পারতেন না। দীর্ঘ দিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। শনিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন প্রবীন সঙ্গীত শিল্পী নির্মলা মিশ্র (Nirmala Mishra). লাল রং তাঁর ভীষণ প্রিয় ছিল। চশমার ফ্রেম থেকে নখ পালিশ সবেতেই লালের ছোঁয়া থাকত। বাংলা সঙ্গীত জগতকে দশকের পর দশক ধরে সমৃদ্ধ করেছেন নিজের গানে। গেয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। এই গানেই চিরকাল শ্রোতাদের মনে বেঁচে থাকবেন নির্মলা মিশ্র। দেখে নিন তেমনই কিছু গানের তালিকা।
১. এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না
নিঃসন্দেহে তাঁর জনপ্রিয়তম গান। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এই কালজয়ী গানে সুরারোপ করেছেন সঙ্গীত পরিচালক নচিকেতা ঘোষ। এমন দরদ দিয়ে গানটি গেয়েছেন নির্মলা, আজও এই গানের আবেদন বাঙালিকে আন্দোলিত করে। কয়েক প্রজন্মের কাছে গানটি অত্যন্ত প্রিয়।
২. ও তোতা পাখি রে
প্রবীর মুমদারের লেখা ও সুর করা গানটি শুনলে যে কোনও মানুষের চোখের কোন ভিজে উঠবে। ছোট্ট শিশুর মাকে হারানো বুক ফাটা আর্তি ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর কণ্ঠে।
৩. তোমার আকাশ দু'টি চোখে
ভবেশ গুপ্ত-র লেখা এই অসাধারণ গানটিতে সুরারোপ করেছেন রবীন্দ্র জৈন। বাংলা গানের ইতিহাসে প্রেমের গানের সংকলনে এটি চিরকালীন স্থান করে নিয়েছে।
৪. আমি তো তোমার চিরদিনের হাসিকান্নার সাথী
১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া গানটি ছিল নির্বাচিত প্রেমের গান তৃতীয় ভল্যুমের অন্তর্গত। নির্মলা মিশ্রের আরও একটি কালজয়ী গান। গানটি লিখেছেন বাবু গুহঠাকুরতা এবং সুর করেছেন প্রদীপ দাশগুপ্ত।
৫. বলোতো আরশি তুমি মুখটি দেখে
আরও একটি প্রেমের গানকে নিজের স্বকীয়তায় অমর করে গিয়েছেন নির্মলা মিশ্র। গানটি লিখেছেন ভাস্কর বসু এবং সুরারোপ করে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
৬. সবুজ পাহাড় ডাকে
আরও একটি আনন্দের গান। গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এবং ভুপেন হাজারিকার সুর করা গানটি আজও ভীষণ ভাবে জনপ্রিয়। প্রায় ৫০ বছর আগে তৈরি হওয়া গান এত দিন ধরে সমান জনপ্রিয়।
৭. ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসি
চিরকালীন ঘুম পাড়ানি গানকে অন্য ভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন নির্মলা মিশ্র। এই গানে সুর দিয়েছিলেন সুপর্ণকান্তি ঘোষ। গানটি আজও ভীষণভাবে জনপ্রিয়।