সাহিত্য আজতকদেশের রাজধানী দিল্লিতে আজ শুরু হয়েছে সাহিত্য আজতক ২০২৫। এটি তিন দিনের সাহিত্য উৎসবে কলা, সাহিত্য এবং সঙ্গীত জগতের বিশিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন। এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিল্লির ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে। সেখানে দর্শকরা এই সব ক্ষেত্রের সেরার সেরা সব মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
রাজনীতির কোনও সমাধান নেই
সাহিত্য আজতক শুরু হয়েছে 'আপনে আপনে রাম' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। কবি, লেখক এবং মোটিভেশনল স্পিকার কুমার বিশ্বাস নিজের মতো করে রাম কথা তুলে ধরছেন এই অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, 'সমাজের সমস্যার কোনও সমাধানই নেই রাজনীতির কাছে। আসলে রাজনীতির সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে, সেই সমস্যার সমাধান খোঁজে, সেই সমস্যা সমাধানের রাস্তাও বানায়। কিন্তু সেই সমস্যার আর সমাধান হয় না। কারণ, রাজনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বরং রামই সমস্যা সমাধানের শ্রেষ্ঠ পথ দেখিয়ে গিয়েছেন।
সমাজের অরাজকতার সমাধান জানান
কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, 'এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে পারে ভারতের সাংস্কৃতিক চেতনা। রাজনীতিতে আমরা অসুখ নিয়ে কথা বলছি। ভাই-ভাইপোবাদ, পরিবারবাদ, দুর্নীতি এবং জঙ্গিবাদ নিয়ে চর্চা করছে। রাজনীতি এই সমস্যা এবং এর সমাধানের বিষয়ে কথা বলছে। কিন্তু রাম কথা এর স্বাস্থ্যের বিষয়ে কথা বলেছে। যাতে কোনও অসুখই যেন না হয়। রাম কথা মানুষের ইমিউনিটি বুস্টার। ইমিউনিটি থাকলে কিন্তু সমাজে অসুখ হবে না।'
মনের মধ্যের রামের নামের আলো জ্বালাও
তিনি নিজের বক্তব্যে কীভাবে সমাজে অসুখ ছড়ায়, সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন। তাঁর মতে, প্রেম করে বিয়ে করার পরও মানুষকে নীল রঙের ড্রেস পরে দেখা যাচ্ছে। মাই স্পেস এবং মাই আইডেন্টিটি খুবই অশ্লীল একটি জুমলা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, 'আমরা জন্ম নিয়েছিলাম না ডাউনলোড হয়েছিলাম। এই সম্পর্ক দুটি মানুষের প্রেমের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল। এই প্রেমের পিছনে কিছু পরিবার, একাধিক মানুষ নানা ভূমিকা নিয়েছেন। কিন্তু আজ আমরা নিজেদের জন্য স্পেস চাইছি। গোস্বামী তুলসীদাস বলেছেন, চৌকাঠে রাখা প্রদীপ যেমন বাইরেও আলো ছড়ায়, তেমনই রামের প্রদীপ জিভে জ্বালালে দেহের অন্তর এবং ভিতরও জেগে ওঠে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই জেনারেশন অতীতকে সম্মান করে না। বর্তমানকে ভুলে যায়। এমনকী ভবিষ্যতকেও মাথায় রাখে না। আমরা যদি ছোট থেকেই রামের কথা শুনতাম, তাহলে ভাই এবং বাবার সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে মারামারি হতো না। বলুন তো, আমরা কেন নিজেদের পরিবারের সদস্যদেরই মেরে ফেলি?'
রামকে নিয়ে প্রশ্ন উঠলে রাগ করবেন না
তাঁর কথায়, 'কেউ রাম নিয়মে প্রশ্ন করলে রাগ করবেন না। এমনকী রামের পরিবারেও অনেকে রামকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।'
তিনি বলেন, 'ইন্দ্রর ছেলে জয়ন্তও রাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সে যখন জিজ্ঞেস করে রাম কোথায়? তখন ইন্দ্র মেঘ সরিয়ে দিয়ে রামকে দেখিয়েছিলেন। এই সময় জয়ন্ত কাকের রূপ নিয়ে সীতার পায়ে ঠুকরে দেন। সীতার পায়ে রক্ত বেরতে দেখে রাম তীর চালান। জয়ন্ত যেখানে যেখানে যান, তীর সেখানে সেখানে যায়। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর কারও শরণ পায়নি জয়ন্ত। তখন তিনি নারদের পরামর্শ চান। তারপর তিনি পরামর্শ মেনে রামের কাছে যান। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর প্রাণ তো বেঁচে যায়। কিন্তু একটা চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এখন বিজ্ঞান এটা প্রমাণ করছে যে কাকের একটা চোখই কাজ করে।'