আরও একবার পদ্মশ্রী মমতা শঙ্করের মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। কখনও শাড়ির আঁচল, কখনও বা মেয়েদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করে একাধিকবার বিতর্ক তৈরি করেছেন নৃত্যশিল্পী তথা অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। কিছুদিন আগেই ডান্স বাংলা ডান্স শো নিয়েও তাঁর একটি ভিডিও আলোড়ন ফেলেছিল নেটপাড়ায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মমতা শঙ্কর। যা নিয়ে আবারও সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এসে মমতা শঙ্কর জানান যে তিনি কখনও তাঁর বাবা বা ছেলেকে দিয়ে স্যানিটরি প্যাড কিনতে দিতে পারবেন না। এতে নিজেকে ছোট করা হবে। আর এই মন্তব্য শোনার পরই আরও একবার মমতা শঙ্করকে নিয়ে ট্রোলিং শুরু করেন নেটপাড়ার একাংশ। পদ্মশ্রী নৃত্যশিল্পীর এরকম মন্তব্যের প্রতিবাদ করলেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী।
ওই সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর মেয়েদের পিরিয়ড প্রসঙ্গে বলেন, 'স্যানিটারি ন্যাপকিন তো একটা প্রয়োজনীয় দ্রব্য। সেটা তো মানুষ কিনবেন। এত দিন এর বিজ্ঞাপন অন্যভাবে দেখানো হত। কিন্তু এখন সেখানে লাল রঙ দেওয়া হয়।' তিনি আরও বলেন, 'সেখানে লাল রংটা দিয়ে বোঝাতে হবে কেন? মানুষ কি দিনে দিনে বোকা হচ্ছে। আমরা কি অসভ্য হচ্ছি? আমরা এগোচ্ছি না পিছিয়ে যাচ্ছি? আমরা এত বোকা হয়ে যাচ্ছি যে আমাদের চামচে করে গিলিয়ে দিতে হবে? না হলে কি জিনিসটা বিক্রি হবে না?'
মমতা শঙ্কর আরও বলেন, 'আমার লজ্জা করে। আমি টিভি দেখছি, সেখানে এই বিজ্ঞাপন চলছে আর তার মাঝে কেউ এসে গেলে আমার লজ্জা করে। আমি এতটা আধুনিক হতে পারিনি যে, আমার ছেলেকে ওরকম কিছু একটা কিনতে পাঠাবো বা আমার বাবাকে আমি কিনতে দেব। হ্যাঁ, আমি আমার স্বামীকে দিয়ে কেনাতে পারি।' যদিও এই বিষয়টি মমতা শঙ্করের কাছে একেবারেই ট্যাবু বলে মনে হয়নি। অভিনেত্রীর মতে, সমাজ এগোনোর বদলে পিছোচ্ছে। আজকের যুগে দাঁড়িয়েও বাবা-সন্তানকে দিয়ে স্যানিটরি ন্যাপকিন কিনতে দেওয়ার ব্যাপারে আমি ভাবতে পারি না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা শঙ্করের এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। কটাক্ষ-সমালোচনার পাশাপাশি অবশ্য অনেকেই তাঁর এই মন্তব্যকে সমর্থনও করেছেন। যদিও গায়িকা ইমন চক্রবর্তী সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন যে তাঁকে তাঁর বাবাই স্যানিটরি প্যাড কিনে দিতেন। ইমন তাঁর ফেসবুকে বলেন, 'ছোটবেলায় আমার বাবাই আমায় দোকানে গিয়ে কখনও স্যানিটরি ন্যাপকিন কিনতে দেননি। তাই আজও সেই অভ্যাস আমার নেই। আমার মা আমাকে বলেছিলেন যে এগুলো খুব নর্ম্যাল ঘটনা। আমার মা আমাকে বলেছিলেন নারী পুরুষ সমান সমান। কী জানি। এখন কিছু ইন্টারভিউ দেখে মনে হচ্ছে মা হয়তো ভুল ছিলেন।'