বাংলায় কথা বলা নিয়ে ভিনরাজ্যে হেনস্থা! বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এ রাজ্য থেকে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। বাঙালি অস্মিতা নিয়ে ছাব্বিশের ভোটের আগে শান দিচ্ছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের দাবি, দিল্লি পুলিশ বাংলাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলে অপমান করেছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে এসে দাঁড়ালেন টলিউডের জেষ্ঠ্যপুত্র প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ভাষা রক্ষার লড়াইয়ে নামার ডাক দিয়েছেন টলিপাড়ার সুপারস্টার।
এদিন এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রসেনজিৎ। আর সেখানেই বাংলা ভাষা রক্ষার দাবিতে তিনি বলেন, ভাষা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একটি বার্তা দিয়েছেন। বাংলা ভাষা ছিল, আছে, থাকবে। তার জন্য যে কোনও লড়াই করতে হোক না কেন, সেই লড়াই করব। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে প্রায় চার দশকের পথচলা। যে ভাষায় এতদিন দর্শকের সামনে বিনোদনের রসদ জুগিয়েছেন সেই ভাষা রক্ষার দাবিতেই এবার সরব হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
ভিন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। রাজ্য সরকার নিজে উদ্যোগ নিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়েও নিয়ে আসে বাংলায়। এ রাজ্যে ফিরে এসে পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ স্বীকার করেন বাংলা কথা বলায় তাঁদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। এমনকী ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষা আন্দোলনেরও ডাক দেন। এই আবহের মধ্যে দেখা গেল, গতকাল দিল্লি পুলিশ বঙ্গ ভবনে একটি চিঠি পাঠায়। সেখানে তারা লেখে, কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের থেকে যে নথি প্রাপ্ত হয়েছে সেগুলো পরীক্ষার জন্য একজন ট্রান্সলেটর দরকার। যেই ট্রান্সলেটর বাংলাদেশি ভাষা পড়তে সক্ষম। এরপরই সরব হয় তৃণমূল। বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে অপমান করা হয়েছে বলে ক্ষোভ উগড়ে দেয়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই লড়াইয়ের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
কয়েকদিন আগেই প্রসেনজিৎ নিজেই বাংলা ভাষা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন।‘মালিক’ ছবির সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতার এক সাংবাদিক প্রসেনজিতকে বাংলায় প্রশ্ন করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘এখানে বাংলায় কথা বলার কী প্রয়োজন?’ এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। সমালোচনায় একেবারে ক্ষতবিক্ষত হতে হয় টলিউডের সুপারস্টারকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ট্রোলড হন তিনি। এই ঘটনার কিছুদিন পর ক্ষমা চান অভিনেতা।