বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মা রত্না চট্টোপাধ্যায় আর তাঁদেরই সুযোগ্য ছেলে প্রসেনজিৎ আজ টলিউডে রাজ করছেন। শুধু টলিউডেই নয়, প্রসেনজিতের খ্যাতি ছড়িয়েছে সুদূর বলিউডেও। প্রসেনজিতের কাছে মা ছিলেন সবচেয়ে কাছের। তা তাঁর একাধিক পোস্ট থেকেও জানা যায়। তবে মাকে হারিয়েছেন বেশ কিছু বছর হল। মায়ের অভাব তাঁর জীবনে বহুদিনের। বাস্তবে মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত থাকলেও রিল লাইফে তাঁর মায়ের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর পর্দার সেইসব মায়েদের নিয়েই প্রসেনজিৎ দেখলেন তাঁর অযোগ্য ছবিটি।
প্রসেনজিৎ তাঁর পর্দার মায়েদের সঙ্গে সকলের পরিচয়ও করে দিয়েছেন। প্রসেনজিৎ প্রথমেই পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর পাঁচ বছর বয়সে যিনি মা হয়েছিলেন সেই মাধবী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এরপর প্রসেনজিৎ পরিচয় করান অমর সঙ্গী সিনেমায় তাঁর মায়ের ভূমিকায় থাকা শকুন্তলা বড়ুয়ার সঙ্গে, অভিনেতা এটা বলতে ভোলেন না যে এই সিনেমা থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। অযোগ্য ছবিতে লিলি চক্রবর্তীকে দেখা যায় প্রসেনজিতের মায়ের চরিত্রে। তিনি তো উপস্থিত ছিলেনই। এরপর প্রসেনজিৎ পরিচয় করিয়ে দেন পর্দার আর এক মা তথা শাশুড়ি অনামিকা সাহার সঙ্গে। সবশেষে এল প্রসেনজিতের সবচেয়ে কম বয়সি মা লাবণী সরকারের পালা। সুপারস্টার জানান, শটের সময় তিনি লাবণীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেন। আবার শট শেষ হয়ে গেলে লাবণী প্রসেনজিৎকে প্রণাম করে নিতেন। লাবণীকে প্রসেনজিৎ ভালোবেসে লাবু বলে ডাকেন।
সরকারী প্রেক্ষাগৃহ নন্দনের সবচেয়ে বড় হলে স্ক্রিনিং হয়ে ‘অযোগ্য’র। সিনেমা দেখে বেরিয়ে প্রেক্ষাগৃহ-বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স রুমে পর্দার পাঁচ মায়ের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন প্রসেনজিৎ। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে। এই ভিডিও পোস্ট করে সেখানে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, আমার সব রূপোলী পর্দার মায়েদের আশীর্বাদ নিয়ে আজ আমি অযোগ্য থেকে যোগ্য। প্রত্যেকের কাছ থেকেই প্রসেনজিৎ মায়ের মতোই স্নেহ পান এখনও। আর পর্দার প্রত্যেক মায়ের সঙ্গেই জড়িয়ে তাঁর কেরিয়ারের উচ্চতায় ওঠার গল্পও।
প্রসঙ্গত, নন্দনে ‘অযোগ্য’ সিনেমার স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে এই পাঁচজনের সঙ্গে দেখা হয় প্রসেনজিতের। সঙ্গে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও ছিলেন। ‘অযোগ্য’ টিমের পাশাপাশি রঞ্জিত মল্লিক, প্রভাত রায়, অনুপ সেনগুপ্ত, হরনাথ চক্রবর্তীরাও এদিন ছিলেন নন্দনে। গত ৭ জুন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৫০তম জুটির ছবি ‘অযোগ্য’ মুক্তি পেয়েছে। তারপর থেকেই এই ছবি বক্সঅফিসে দারুণ হিট চলছে।