টলিপাড়ার পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করা নিয়ে তোলপাড় কাণ্ড। পরিচালক হিসাবে রাহুল ৩ মাস কাজ করতে পারেবন না, চলচ্চিত্র ফেডারেশনের এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন টলিউডের অনেকেই। এই আবহে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। সেই বৈঠকের পর জানিয়ে দেওয়া হল, রাহুল পরিচালক হিসাবে কর্মবিরতিতে থাকবেন। অর্থাৎ, আপাতত পরিচালনার কাজ করতে পারবেন না তিনি। তবে অন্য কোনও পদে থেকে ছবির কাজে যুক্ত হতে পারবেন রাহুল।
বৃহস্পতিবার ডিরেক্টর্স গিল্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সদস্যরা জানান, রাহুলের ক্ষেত্রে কোনও ব্যতিক্রম করা যাবে না। কারণ সম্প্রতি সিনিয়র এবং জুনিয়র টেকনিশিয়ানদের মিলিয়ে ১৩ জনকে গোপন শুটিং করার কারণে কর্মবিরতিতে যেতে হয়েছে।' বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, 'আমাদের এখনও বক্তব্য, ছবি বন্ধ যেন না করা হয়। রাহুল পরিচালনা না করে অন্য কোনও পদে থাকলে আমাদের তরফ থেকে কোনও আপত্তি থাকবে না। এর কারণ আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে ছবিটা সম্পন্ন হোক।'
এসভিএফের একটি পুজোর ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাহুল। প্রসেনজিৎ, অনির্বাণ রয়েছেন ওই ছবিতে। রাহুলকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের জেরে বিপাকে পড়ে বাংলা ছবির পয়লা নম্বর প্রযোজনা সংস্থা। ছবির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। শেষমেশ, ফেডারেশনের আপত্তির জেরে পরিচালকের আসন থেকে সরে আসেন রাহুল। তাঁকে ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সৌমিক হালদার ওই ছবির পরিচালনা করবেন বলে বিবৃতি দিয়ে জানায় এসভিএফ। তবে তাতেও আপত্তি জানিয়েছিল ফেডারেশন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আপত্তি থেকে সরে দাঁড়াল ফেডারেশন।
কী নিয়ে বিতর্ক?
নিয়ম বিরুদ্ধভাবে কাউকে না জানিয়ে বাংলাদেশে লুকিয়ে শুটিং করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে রাহুলের বিরুদ্ধে। তার জেরেই রাহুলকে ৩ মাসের কর্মবিরতির নির্দেশ দেয় চলচ্চিত্র ফেডারেশন। আর এই নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত।