রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee) মানেই এভারগ্রিন বিউটিকুইন। টলিউড (Tollywood) এবং ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। তার অভিনয় এবং সৌন্দর্য্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকরা। অভিনয় বহু আগে ছেড়ে দিলেও সৌন্দর্যটা এখনও ঠিক আগের মতই ধরে রেখেছেন তিনি। প্রায় ৫০ এর দোরগোড়ায় পৌঁছেও রচনা আজও এত সুন্দরী কীভাবে?
রচনা ব্যানার্জীকে প্রতিদিন ছোটপর্দায় দিদি নাম্বার ওয়ান-এ দেখেন দর্শকরা। গত দশ বছর ধরে তাঁকে রোজ একইরকম সুন্দর দেখাচ্ছে। সেই ছিপছিপে চেহারা, গ্ল্যামার উপচে পড়ছে শরীরে, ৫০ পেরিয়েও তিনি কীভাবে নিজেকে মেনটেইন করছেন তা জানতে চান তার থেকে কম বয়সী অভিনেত্রীরাও। অবশেষে তা ফাঁস করে দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাজশ্রী ভৌমিক (Rajashree Bhowmik)।
আরও পড়ুন: Mimi Chakraborty: সেকি! প্রথমবার এই ফল চেখে দেখলেন মিমির মা, হতবাক নেটপাড়া
দিদি নাম্বার ওয়ানের সেলিব্রিটি স্পেশাল পর্বে সম্প্রতি সিরিয়ালের চারজন অভিনেত্রী এসে হাজির হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন রাজশ্রী। তিনি বাংলা ছোট পর্দার অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি দিদি নাম্বার ওয়ানে হাজির হয়েছিলেন রচনার রূপ রহস্য জানবেন বলেই। তিনিই ফাঁস করে দিলেন রচনার সব সিক্রেট।
রাজশ্রী রচনাকে প্রশ্ন করেন তিনি সারাদিন কীভাবে এত উৎসাহের সঙ্গে তার সব কাজ করতে পারেন? একাধারে তিনি তার ছেলেকে মানুষ করছেন, বিধবা মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করছেন, দিনের একটা বড় অংশ শুটিং করছেন, সেইসঙ্গে নিজেকে ফিট রাখার জন্য শরীরচর্চাও করেন, আবার শুটিং থেকে বাড়ি ফিরে সেই একই উৎসাহের সঙ্গে রচনা আবার তার ব্যবসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।এই প্রশ্নের জবাবে রচনা বলেন তিনি ভীষণ ওয়ার্কোহলিক, অর্থাৎ কাজ পাগল মানুষ। কাজ ছাড়া তিনি থাকতেই পারেন না। তিনি ৪৮ ঘন্টা না থেমে কাজ করে যেতে পারেন। রাজশ্রীকে এরপর বলতে শোনা গেল, “আজ রচনা ব্যানার্জীর হাঁড়ির খবর জানাবো। তোমার সৌন্দর্যের এই রহস্য আমি জেনেই তবে যাব।” এই বলে তিনি এগিয়ে যান রচনার দিকে।
তারপর সেখানে গিয়ে তিনি রচনার কিছু খাবার দাবার উদ্ধার করেন। রাজশ্রী বের করে আনেন একটা ছোলা এবং একটা হজমির কৌটো। দেখে অবাক হয়ে যান সকলে। রাজশ্রী বলেন, “দেখে নাও সবাই রচনার সৌন্দর্য্যের রহস্য আমি ফাঁস করে দিলাম।” আরেক প্রতিযোগী তনুশ্রী গোস্বামী বলেন, মানে ছোলা খেয়ে সেটাও হজম করে নিতে হবে। তবেই না রচনা ব্যানার্জীর মত এমন ফিগার ধরে রাখা যায়!