মায়ের কোলে একরত্তি। চোখ বন্ধ করে ঘুমোচ্ছে, সাদা-লাল রঙের জামা পরা। অন্য ছবিটাতে একটু বড় হয়েছে একরত্তি, মুখে দুষ্টু হাসি, গোল গোল চোখ। আর একটি ছবিতে মায়ের কোলে বসে ছবি তুলেছে কিশোরী। এই তিনটে ছবি দেখলে বুঝতে পারবেন না কার কথা বলা হচ্ছে। একরত্তি এই মেয়ে এখন বং ক্রাশ। টলিউডেও পা জমাতে শুরু করে দিয়েছে। জনপ্রিয় এক মুখ।
টলি ডিভার মা নিজেও পরিচালক। তিনি মেয়েকে ডাকেন পলিনিয়া বলে। পলিনিয়া তথা টলিউড অভিনেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর পরিচালক মা ছোটবেলার এই ছবিগুলো দিয়ে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারকারা নিজেদের ছোটবেলার ছবি প্রায়ই দিয়ে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। সেরকমই কিছু ছবি এই টলিউড নায়িকার মাও শেয়ার করেছেন। তবে এক ঝলক দেখলে বোঝার উপায় নেই ঠিক কোন অভিনেত্রীর কথা এখানে বলা হচ্ছে।
যাঁর কথা এখানে বলা হচ্ছে তিনি টলিউডের ফাটাফাটি অভিনেত্রী। পড়াশোনাতেও যেমন ভাল তেমনি মিনিয়েচার বানাতেও ওস্তাদ তিনি। ছোটবেলার ছবি দেখে চেনা কঠিন। তবে এই মিষ্টি শিশু আসলে ঋতাভরী চক্রবর্তী। বুধবার ঋতাভরীর জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে তাঁর মা শতরূপা সান্যাল মেয়ের ছোটবেলার ছবি পোস্ট করেছেন। ছবি শেয়ার করে লিখেছেন বিশেষ কবিতা। তবে শুধু শতরূপাই নয়, দিদি চিত্রাঙ্গদাও বোনের জন্মদিনে নিজেদের ছোটবেলার ছবি শেয়ার করে ঋতাভরীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
টলি পাড়ায় খুবই পরিচিত এক মুখ ঋতাভরী। যাঁর সফর শুরু হয়েছিল ছোটপর্দা থেকে। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিরিয়াল দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন ঋতাভরী। তখনও স্কুলের গণ্ডিও পেরোননি তিনি। তারপর বড়পর্দায় শুরু হয় তাঁর যাত্রা। ‘তবুও বসন্ত’ ‘থেকে ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’, ‘ফাটাফাটি’, ‘বহুরূপী’ পর্যন্ত পার হয়েছে গোটা একটা যুগ। এরই মাঝে বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। আবার শারীরিক অসুস্থতার সম্মুখীনও হয়েছেন। যে কারণে তাঁর ওজন হঠাৎই অনেকটাই বেড়ে যায়।
কিন্তু প্রতিবারই দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছেন ক্যামেরার সামনে। নিজের ব্যক্তিগত জীবনও এখন গোছানো। মনোবিদ তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ঋতাভরী। ‘আইডিয়াল স্কুল অফ দ্য ডেফ’-এর পুরো দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এই স্কুলের শিশুদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন পালন করবেন অন্যান্য বছরের মতোই।