Roi Roi Binale Victor Banerjee: 'রই রই বিনালে'তে কেন ভিক্টরকেই 'গুরু' মেনেছিলেন জুবিন? রাজি করিয়েছিলেন জোর করেই

ছবিতে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুলের সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে অভিনয় করেছেন। বাস্তবে ভিক্টর অসমের মোরান ব্লাইন্ড স্কুল চালান। যেখানে দৃষ্টিহীন শিশুদের শিক্ষা ও সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জুবিন এই কারণেই সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ভিক্টরকে কাস্ট করেছিলেন। দর্শকদের দৃষ্টিহীনদের বিষয়ে ভাবাতে চেয়েছিলেন প্রয়াত শিল্পী। 

Advertisement
'রই রই বিনালে'তে কেন ভিক্টরকেই 'গুরু' মেনেছিলেন জুবিন? রাজি করিয়েছিলেন জোর করেইজুবিন গর্গের শেষ ছবি 'রই রোই বিনালে'তে, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় একজন শিক্ষক যিনি অন্ধ গায়কের জীবন বদলে দেন। বাঁদিকে মোরান ব্লাইন্ড স্কুলের এক ছাত্র, ছবিটি দেখার জন্য একটি থিয়েটারে।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • ছবিতে রাহুল চরিত্রের জন্য জুবিন মাত্র ৫ শতাংশ দেখতে পাওয়া যায়, এমন লেন্স ব্যবহার করেছিলেন।
  • জুবিন ওই লেন্স শুটিংয়ের সময় ৮-১২ ঘণ্টা পরে থাকতেন।

অসমের রকস্টার জুবিন গর্গের শেষ ছবি ‘রই রই বিনালে’ এখন শুধু একটি সিনেমা নয়। সেরাজ্যের মানুষ ও জুবিন অনুরাগীদের কাছে তার চেয়েও বেশি। ছবিতে জুবিনের নাম রাহুল। যাকে রাউল নামে ডাকতেন গানের শিক্ষক ভিক্টর। এই চরিত্রের সঙ্গে বাস্তব জীবনের সংযোগ অতি সূক্ষ্মভাবে তৈরি করেছেন জুবিন। রয়েছে অনেক ভাবনা-চিন্তা।

ছবিতে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুলের সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে অভিনয় করেছেন। বাস্তবে ভিক্টর অসমের মোরান ব্লাইন্ড স্কুল চালান। যেখানে দৃষ্টিহীন শিশুদের শিক্ষা ও সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জুবিন এই কারণেই সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ভিক্টরকে কাস্ট করেছিলেন। দর্শকদের দৃষ্টিহীনদের বিষয়ে ভাবাতে চেয়েছিলেন প্রয়াত শিল্পী। 

ছবিতে রাহুল চরিত্রের জন্য জুবিন মাত্র ৫ শতাংশ দেখতে পাওয়া যায়, এমন লেন্স ব্যবহার করেছিলেন। ছবির মূল অভিনেত্রী মৌসুমী আলিফা একথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, জুবিন ওই লেন্স শুটিংয়ের সময় ৮-১২ ঘণ্টা পরে থাকতেন। সত্যিকারের দৃষ্টিহীনদের মতো অভিনয় ও অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলার জন্য। 

মোরান ব্লাইন্ড স্কুলের পড়ুয়ারা জুবিনের রই রই বিনালে ছবিটি থিয়েটারে দেখেছেন। এবং কেঁদেছেন। স্কুলের প্রধান নরেশ জোশী জানিয়েছেন, 'ছবিটি দেখার সময় পড়ুয়ারা শুধু সংলাপ শোনেনি, প্ররণাও পেয়েছেন। এক পড়ুয়া বলেন, 'জুবিনদা একজন অন্ধ গায়কের চরিত্রে অভিনয় করে আমাদের শক্তি জুগিয়েছেন।'

জুবিনের বাস্তব জীবনও সিনেমার মতোই পরোপকারী। তিনি নীরবে বহু অচেনা মানুষকে সাহায্য করেছেন। গুয়াহাটির ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য সুপারিশের মাধ্যমে স্থানীয়দের সমর্থন করেছেন। ভিক্টর  বলেন, 'জুবিনের চরিত্রায়নের মাধ্যমে তিনি বাস্তব জীবনের বার্তাও প্রচার করেছেন। অন্ধ হওয়া কোনও ব্যক্তির প্রাথমিক পরিচয় নয়। প্রতিটি মানুষই তার ক্ষমতা অনুযায়ী আলোকিত হতে পারে।'

উল্লেখ্য, অসমে মোরান ব্লাইন্ড স্কুলে ভিক্টরের নেতৃত্বে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি উন্নত শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটি ডিব্রুগড়ের সবুজ চা বাগানের মধ্যে ১০ বিঘা জমির ওপর বিস্তৃত। ১৯৮২ থেকে ভিক্টর ট্রাস্টের সভাপতি হিসেবে স্কুল পরিচালনা করছেন। যেখানে শ্রেণীকক্ষ, অডিটোরিয়াম, ছেলে-মেয়েদের আলাদা হস্টেল। এবং দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে ৬৫ জন পড়ুয়া এখানে রয়েছেন। ভিক্টর নীরবে স্কুলের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement