সাহিত্য আজতক ২০২৪-এর শেষ দিনে দর্শকদের মুগ্ধ করলেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন নওটিয়াল। সুরের মূর্ছনায় ভক্তদের মাতিয়ে তোলার পাশাপাশি তিনি ভাগ করে নিলেন নিজের জীবনের গল্প, সঙ্গীত যাত্রার অভিজ্ঞতা এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। জুবিন তার কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলির কথা তুলে ধরেন, যখন ২০১৭ সালে এক বড় মিউজিক লেবেল তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তখন তার মা বলেছিলেন, "তোমার ভাগ্য কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। যা তোমার প্রাপ্য, ঈশ্বর তা দেবেন।" এই কথাই তাকে নতুন করে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল।
তার প্রেম জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "ভালোবাসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার জীবনেও ভালোবাসা আছে। এখন সময় এসেছে এগিয়ে যাওয়ার। আমি শীঘ্রই বিয়ের পরিকল্পনা করছি।" ভক্তদের সঙ্গে নিজের জীবনের এই খোলা কথোপকথনে তিনি তার সঙ্গীতের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও স্পষ্ট বার্তা দেন।
জুবিন তার গান নিয়ে বলেন, তিনি এমন সুর তৈরির দিকে মনোযোগ দিতে চান যা তার হৃদয়ের কাছাকাছি থাকবে এবং তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাকে ছুঁয়ে যাবে। তিনি জানান, "আমি এখন এমন গান করতে চাই যা সময়ের সঙ্গে মিশে যাবে এবং সবার হৃদয়ে পৌঁছাবে।" ভক্তিমূলক গানের প্রসঙ্গে জুবিন বলেন, তার গাওয়া "মেরে ঘর রাম আয়ে হ্যায়" গানটি ভগবান রামের কৃপায় সবার ভালোবাসা পেয়েছে। তিনি স্মৃতিচারণ করেন ইন্দ্রপ্রস্থে এক কনসার্টের কথা, যেখানে এক লাখ মানুষ তার গান শুনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল।
পাঞ্জাবি, ভোজপুরি এবং হরিয়ানভি সঙ্গীতের মতো পাহাড়ি সঙ্গীতকেও জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছেন এবং ২৫-৩০টি পাহাড়ি গান মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান। জুবিন বলেন, অভিনয় ও নাচের সঙ্গে সঙ্গীত জগতে তার অভিজ্ঞতা তাকে অনন্য করে তুলেছে। AI প্রযুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি শিল্পীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে। শেষ মুহূর্তে, জুবিন তার জনপ্রিয় গান "ওয়াক্ত নে হ্যায় কিয়া কইসা সিতাম" পরিবেশন করেন। তার এই পরিবেশনা চোখে জল এনে দেয় অনেকের। ভক্তরা নাচের তালে মেতে ওঠেন এবং অনুষ্ঠানের স্মৃতিকে আরও স্মরণীয় করে তোলেন।