ছুরিকাহত সইফ আলি খান। তাঁকে পরপর ৬ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এর মধ্যে দুটি ক্ষত গভীর। সইফের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী এই হামলা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সইফের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই অস্ত্রোপচারে ইতিমধ্যেই চিকিৎসকরা অভিনেতার শরীর থেকে ছুরির অংশ বার করেছেন। সইফের স্নায়ুর অস্ত্রোপচারও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অভিনেতার কসমেটিক সার্জারিও হয়েছে। ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। তদন্তকারীদের একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বান্দ্রার মতো বর্ধিষ্ণু এলাকায় অভিনেতাদের নিরাপত্তার বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। ওই এলাকায় অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী থাকেন। এই ঘটনার পর থেকে তাঁরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অভিনেতার উপর আক্রমণের পর যে যে প্রশ্ন উঠে আসছে, সেগুলো কী কী ?
কোথায় ছুরিকাহত সইফ?
বান্দ্রার সৎগুরু শরণ বিল্ডিংয়ের সাততলায় ছিলেন সইফ। রাতে তিনি সন্তানদের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর হামলা হয়। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আক্রান্ত হন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।
কেন হামলা?
কোনও অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী এই হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। করিনা কাপুরের টিমের তরফে জানানো হয়েছে, চুরির উদ্দেশ্যে কেউ বাড়িতে ঢুকেছিল। সেই হামলা চালিয়েছে।
সইফের উপর কীভাবে হামলা?
সইফের উপর ছুরি দিয়ে সেই দুষ্কৃতী হামলা করে। জানা যাচ্ছে, যখন সইফের উপর হামলা হয় তখন তিনি নিজের পরিবারের সদস্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দুষ্কৃতী তাঁকে হামলা করে।
করিনা ও বাচ্চারা তখন কোথায় ছিলেন?
করিনা কাপুর ও দুই সন্তান তখন সেই ঘরেতেই ছিলেন বলে সূত্রের খবর। তবে তাঁরা কোনওরকমে হামলা থেকে রক্ষা পান।
আর কেউ আঘাত পেয়েছেন?
সইফ ছাড়া তাঁর পরিবারের আর কেউ আক্রান্ত হননি। তবে সেখানে আর একজন মহিলা স্টাফ ছিলেন। তাঁর উপরও হামলা হয়। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সেই মহিলার নাম কী বা পরিচয় সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য সামনে আসেনি।
পুলিশ কী বলছে?
পুলিশ জানিয়েছে, সইফের উপর হামলার ২ ঘণ্টা আঘের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, হামলাকারী আগে থেকেই ছিল সেই ফ্ল্যাটে।