বলিউডের (Bollywood)-এর দাবাং অ্যাক্টর (Dabangg Actor), সকলের পছন্দের ভাইজান (Bhaijan), সলমান খান (Salman Khan) আইফা ২০২২ (Iffa 2022) এ নিজের অ্যাঙ্কারিংয়ে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছিল। সালমান খান আইফার মঞ্চে সে সমস্ত লোকেদের নিজের অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। যাঁরা থাকে তাঁর ফ্লপ (Flop to Hit) ক্যারিয়ার থেকে রিভাইভ করেছেন, আর দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন। বলতে গিয়ে তিনি তাঁর চোখের জল (Fell his Tears) ধরে রাখতে পারেননি।
কেন ইমোশনাল (Emotional) হলেন সলমান
সলমান খান, বনি কাপুরকে (Boney Kapoor) তাঁর নিজের সাফল্যের পিছনে কারিগর (Carrier Booster) বলে বর্ণনা করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সলমান নিজে জানিয়ে দিয়েছেন যেভাবে তাঁকে বনি কাপুর ২০০৯ সালে ওয়ান্টেড-এ (Wanted) কাজ করার সুযোগ এনে দেন। এতে সলমান তাঁর কাছে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। সলমান খান আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তাঁর চোখে জল চলে আসে তিনি বলেন যে বনি কাপুর আমাকে সারা জীবন সাহায্য করেছেন। যখন আমার ক্যারিয়ার ফ্লপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি আমাকে ওয়ান্টেড এর মতো ফিল্ম অফার করেন। যা সুপারহিট (Super hit) হয়। এরপর তিনি আরও একটি সিনেমা 'নো এন্ট্রি'তেও (No Entry) সুযোগ দেন। যা অনিল কাপুরেরও (Anil Kapoor) কামব্যাক ফিল্ম ছিল।
সুনীল শেট্টি জামা-কাপড় দিয়েছিলেন
সুনীল শেট্টির (Sunil Shetty) সাহায্য সলমান ভুলবেন না। তিনি নিজের ক্যারিয়ার শুরুর দিনের বিষয়ে কথা বলেন। তখন তিনি নিজেকে স্টার বলে মনে করতেন না। সলমান জানান, যখন আমার কাছে পয়সা ছিল না, সুনীল শেট্টির মিসচিফ নামের একটি দোকান ছিল। আমি স্টোনওয়াশ জিন্স, পার্স ও বুটস দেখছিলাম। আমি জানতাম যে সেটি আমি কিনতে পারবো না। কারণ আমার কাছে এত টাকা ছিল না। কিন্তু আন্না, আমার চোখ দেখে আমাকে ওই জিনিস গিফট করার সিদ্ধান্ত নেন। যেটা আমি চাইছিলাম। কথা বলতে গিয়ে তিনি চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
রমেশ দৌরানিকেও ধন্যবাদ
সলমান সব সময় রমেশ দৌরানিকেও (Ramesh Dourani) ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রমেশ দৌরানিকে। যিনি এক সময় পাত্থর কে ফুল সিনেমা অফার করেছিলেন। যখন তাঁর কাছে ম্যায়নে পেয়ার কিয়ার (Maine Pyar Kyaa) সাফল্যের পরও কোনও ফিল্ম ছিল না। তিনি বলেন, সিনেমা হিট করার পর ভাগ্যশ্রী (Bhagyashree) ফিল্ম ছেড়ে দেন। তাঁর বিয়ে হয়ে যায় এবং ইন্ডাস্ট্রিকে বিদায় জানান তিনি। তার প্রভাব পড়ে তাঁর ক্যারিয়ারেও। জুটি ভেঙে যাওয়ার কারণেই হোক, কিংবা অন্য কোনও কারণ। তাঁর কাছে সিনেমা ছিল না। সেই সময় রমেশ ভগবানের মতো এসে উপস্থিত হন এবং পাত্থর কা ফুল সিনেমায় (Patthar Ka Phool) সই করান।