কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ জনপ্রিয় সায়ক চক্রবর্তী। নিজের ডেইলি ভ্লগের মাধ্যমে নেটপাড়ায় মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। যে কোনও ইভেন্টে হোক বা তাঁর নিজের ভ্লগে, সায়কের মাকে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সাদামাটা ও সদাই হাসিমুখের এই মহিলা সায়কের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয়। কিন্তু অনেকের মনেই অভিনেতা ও ইনফ্লুয়েন্সার সায়কের বাবাকে নিয়ে হাজারো প্রশ্ন। এটা সকলেই জানেন যে সায়কের এই খ্যাতির পিছনে তাঁর মায়ের অবদান কম নয়। তাই অনেকেই মনে করেন যে সায়ক হত সেভাবে তাঁর বাবাকে পছন্দ করেন না। তবে আন্তর্জাতিক পিতৃদিবসের দিন অভিনেতা সুদূর গোয়া থেকে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন একবারে।
ফাদার্স ডে-এর দিন বাবাকে নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট করেন সায়ক। তবে সেই লেখায় বাবাকে নিয়ে এক লাইন আর মা রেখা চক্রবর্তীকে নিয়েই পুরো পোস্ট। আসলে সায়কের ছোটবেলা থেকে বড়বেলা, সবটায় ভীষণভাবে জড়িয়ে তাঁর মা। সায়কের লেখায় স্পষ্ট যে তাঁর মা তাঁকে একা মানুষ করলেও সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে কাজ করেছিলেন তাঁর বাবা সায়ক জানিয়েছেন, 'ছোটবেলা থেকে বাবার ভালোবাসা, কেয়ার, গাইডেন্স, ইচ্ছে পূরণ, বায়না, পড়াশোনা, কোথাও সেভাবে পাইনি বাবাকে। আমার মা-ই মা, আমার মা-ই বাবা।' এরপরই সায়ক লেখেন, 'খিদে পেলে, রাগ হলে, ঘুম না আসলে, পরীক্ষার পড়া পড়ানো, খারাপ নম্বর পেলে না বকে বোঝানো, রাতে ভূতের ভয় ছাদে বাথরুম নিয়ে যাওয়া, শেষ সম্বল দিয়ে মাংস কিনে এনে কাঁদতে কাঁদতে রান্না করা। তার মাঝে আমার সকল দুখের প্রদীপ গান করা থেকে হঠাৎ মাংসের গন্ধে ছুটে এসে বলা মা একটু দেবে? চোখের জল মুছে হাসি মুখে নিজের জন্য রাখা মাংসর টুকরোটা আমায় খাইয়ে দেওয়া। রাতে একটা রুটি চিনি দিয়ে খাওয়া,কিছু নেই ঘরে,মাসির বাড়ি গিয়ে লুকিয়ে মাসির হাত থেকে টাকা নিয়ে আসা, চাল বাড়ন্ত মামার বাড়ি গিয়ে বড় মামা থেকে চাল ডাল বয়ে আনা, একটু অটো ভরা জমিয়ে ছোড়দিদা আর পূর্ণা মামির বাড়ি থেকে খাইয়ে আনা-এই সবকিছু আমার মা।'
শেষে সায়ক লেখেন, 'এমন মাকে ছেড়ে ফাদার্স ডে-তে বাবাকে কী করে উইশ করি...।' তবে বাবা অনুপম চক্রবর্তীকে পিতৃদিবসের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। সঙ্গে মাকেও এই দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। এটা কারোরই অজানা নয় যে সায়ক ও তাঁর মায়ের সম্পর্ক কতটা গভীর। তাঁর প্রতিটি রিলস ভিডিও থেকে শুরু করে একাধিক ইভেন্টে, তাঁর ভ্লগে সব সময়ই মায়ের উপস্থিতি দেখা যায়। সুকান্ত ও অনন্যার সঙ্গে এখন গোয়াতে রয়েছেন সায়ক।
বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ–লন্ডন এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার টেকঅফের কিছুক্ষণ পরেই ভেঙে পড়ে মেঘানিনগর এলাকায়। সেই সময় মাঝ আকাশে ছিলেন সায়ক। তাই দুর্ঘটনার খবর আসতেই তাঁর পরিবারে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। তবে সায়ক জানিয়েছেন যে তিনি সুস্থ আছেন। যদিও সায়ক ছিলেন অন্য ফ্লাইটে।