রাজ্যজুড়ে ক্রমেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। আর এরকম পরিস্থিতিতে নিজের জায়গা লিলুয়ার অব্যবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। ইমন কিছু বছর আগে পর্যন্ত লিলুয়ারই বাসিন্দা ছিলেন। তবে এখন কর্মসূত্রে তিনি কলকাতায় থাকছেন। তবে লিলুয়াতে তাঁর বাবা থাকেন। তাই ইমনের যাতায়াত সেখানে প্রায়ই হয়। আর এখানে এসে তাঁর বাড়ির আশেপাশের এলাকার আবর্জনা দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলেন না শিল্পী।
ক্ষুব্ধ গায়িকা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও। ছবিতেই স্পষ্ট যে কীভাবে আবর্জনা জমেছে গোটা এলাকায়। গায়িকার অভিযোগ, স্থানীয় পুরসভায় অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও কাজ হয়নি। সামনে পুকুরও ভরে গিয়েছে আবর্জনায়। সেই পুকুরে আর জল নেই, শুধুই নোংরার স্তূপ। ইমন এরপরই ফেসবুকে সরব হন। তিনি লেখেন, আমার লিলুয়ার বাড়ির সামনের অটোস্ট্যান্ডটা পুরো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ১০০ বার বলেও ঠিক হচ্ছে না। সত্যিই লজ্জাজনক। যাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁরা পালন করছেন না। ছবি এবং ভিডিয়ো দিলাম। বালি পুরসভার লজ্জা আসুক। যাঁরা যাঁরা এখানে ময়লা ফেলে চলেছেন, তাঁদেরও লজ্জা হোক।
ডেঙ্গি নিয়ে এমনিতেই রাজ্যের চিন্তার শেষ নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহু এলাকারই আবর্জনা-বৃষ্টির জমা জল পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডারও। সেখানে লিলুয়ার এরকম পরিস্থিতি সত্যই উদ্বেগজনক। আর গায়িকা ইমনের বাবা যেহেতু সেখানে থাকেন তাই তাঁর চিন্তা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। ইমন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় এমনিতে ভালো মানুষ হলেও তাঁকে এই সমস্যার কথা জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই ইমন সরাসরি মদন মিত্রের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন।
যদিও ওই সংবাদমাধ্যমকে বালির বিধায়ক জানিয়ে দেন যে ইমন তাঁর এলাকার বাসিন্দা নন। তবে যদি তাঁর কোনও সমস্যা হয়ে থাকে তবে তাঁকে যেন ইমন ছবি এবং জায়গার জিপিএস পাঠিয়ে দেন তাহলে তিনি দেখতে পারেন যে কোনও সহায়তা করা যায় কিনা।