ভালো কাজ করেও দিনের পর দিন ট্রোল হয়েছেন শিল্পী ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)। কেউ তাঁকে ধর্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। কেউ তাঁকে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে লোক দেখানো সমাজ সেবা করার মতো কটাক্ষ শুনিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনও দিন দমে যাননি ইমন। বরং আরও দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে নিজের কাজ এবং সমাজ সেবার মনোনিবেষ করেছেন। কিন্তু তিনিও তো মানুষ তাঁরও তো রাগ, দুঃখ, অভিমান রয়েছে। হঠাৎই ছুটির দিনে ইমনের মুখে কু-কথা শোনা গেল। সাধারণ গালাগাল থেকে শতহস্ত দূরেই থাকেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী শিল্পী। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেকে সামলাতে পারলেন না।
এ পর্যন্ত পড়ে সকলেই হয়তো ভাবছেন, নতুন করে হয়তো সোশাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছএন ইমন। আদপে তা নয়। তাঁর একটা মজার শিশুসুলভ দিক রয়েছে। যাঁরা তাঁকে সোশাল মিডিয়ায় ফলো করেন তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন। মাঝে মধ্যে ডাবস্ম্যাশ ভিডিও পোস্ট করেন ইমন। সেখানে কোনও একটি চরিত্রের হয়ে অভিনয় করেন তিনি। শনিবার ছিল হামি-র দিন। সিনেমায় স্কুলের এক দুষ্টু ছাত্র শিক্ষিকার কথা না শুনে ফস করে কু-কথা বলে ফেলে। সেই ফোকলা দাঁতের ছাত্রটিকে নিশ্চয়ই মনে থাকার কথা। সেই ছাত্রের ভূমিকায় ছিলেন ইমন। তাঁর এই ভিডিও দেখে সকলে হেসে অস্থির।
রতি বছর প্রায় সপ্তাহব্যাপী চলে স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উদযাপন। প্রায় একমাস আগে থেকে চলে তার প্রস্তুতি। এটি যেন কোনও উৎসবের থেকে দেশবাসীর জন্য কোনও অংশে কম না। বছরের এই দিনটিকে কেন্দ্র করে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি গান (Independence Day Songs)। তার মধ্যে ইমন বেছে নিলেন 'ও আমার দেশের মাটি'-গানটি। ১৯০৬ সালে 'বঙ্গভঙ্গ রোধ' আন্দোলনের সমর্থনে লেখা হয়েছিল দেশাত্মবোধক এই গানটি। বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে গানটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)।
এই গানটিই কেন বেছে নিলেন ইমন চক্রবর্তী? তিনি আজতক বাংলাকে জানালেন,"এই গানটি আমার খুব পছন্দের একটা গান এবং আমি নিজে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে যাই গানটা যখন গাই বা শুনি। অনেকদিন ধরেই চাইছিলাম আমার গলায় 'ও আমার দেশের মাটি' গানটা থাকুক। তাই বেছে নেওয়া..."
ইমনের গাওয়া এই গানটির সঙ্গীত আয়োজন করেছেন অয়ন মুখোপাধ্যায়, মিক্সিং ও রেকর্ডিং করেছেন নীলাঞ্জন ঘোষ এবং গানের ভিডিয়োটির নির্দেশনা দিয়েছেন দেবর্ষি সরকার। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যেই ইমন চক্রবর্তী প্রোডাকশনসের বিশেষ নিবেদন - 'ও আমার দেশের মাটি'।