১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল ভ্যালেন্টাইন্স ডে। এইদিন প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী একে-অপরের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত কাটান। কিন্তু এইদিনে মন একেবারেই ভাল ছিল না গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর। প্রেম দিবসের দিন হাসপাতালেই কাটাতে হল তাঁকে। আর সেখান থেকে সেলফি পোস্ট করে এই বিশেষ দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলকে। কী হল গায়কের?
আসলে হাসপাতালে ভর্তি রূপঙ্কর বাগচীর স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ী। শুক্রবার তাই হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলে প্রেম দীবস পালন করলেন এই দম্পতি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে চৈতালি আর স্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রূপঙ্কর। ছবির সঙ্গে গায়ক ক্যাপশনে লিখেছেন, সুখে দুঃখে বিপদে সম্পদে পরস্পরের সঙ্গে আছি ছিলাম ও থাকব। শুভ প্রেম দিবস। এই ছবি ও ক্যাপশন পোস্ট করার পর পরই রূপঙ্করের ভক্ত-অনুগামীরা কমেন্টে জানতে চান তাঁর স্ত্রীর কী হয়েছে?
এক সংবাদমাধ্যমকে গায়ক জানান যে চৈতালি কোলন সংক্রমণে আক্রান্ত। তাঁকে সল্টলেকের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত পরশু থেকে গায়কের স্ত্রী হাসপাতালে। ওষুধপত্র চলছে। এখন অনেকটা ভাল রয়েছেন গায়কের স্ত্রী। অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। সোমবারই হয়ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন রূপঙ্করের স্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলেই গায়কের স্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। প্রসঙ্গত, গায়কের জন্মদিনের দিনও তাঁকে হাসপাতালেই কাটাতে হয়েছিল। ২ ডিসেম্বর রূপঙ্করের জন্মদিন। সেই সময় CRP লেভেলটা খুব বেশি ছিল চৈতালির। UTI-এর সমস্যা হয়েছিল। তবে এ বার নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রূপঙ্কর-পত্নী। যার ফলে আবারও ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে।
প্রসঙ্গত, রূপঙ্করের জীবনের সমস্ত ভালো-খারাপ সময়ের সঙ্গী তাঁর স্ত্রী চৈতালি। বহু সময়ে এ কথা বলতে শোনা গিয়েছে শিল্পীকে। রূপঙ্করের সঙ্গে সমস্ত পরিস্থিতিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে দেখা গিয়েছে চৈতালিকে। স্ত্রী চৈতালী ও কন্যা মহুলকে নিয়ে সুখে সংসার রূপঙ্করের। ১৯৯৯ সালে চৈতালী লাহিড়িকে বিয়ে করেন তিনি। তারপর থেকে সুখেই ঘরকন্যা করছে। সম্প্রতি ফেসবুকের পাতায় মেয়ে ও বউ-এর ছবি দিয়ে ক্যাপশান দিয়েছিলেন 'স্বজন'। একরত্তি কন্যা মহুল তাঁদের জীবনের বেঁচে থাকার রসদ। আপাতত চিকিৎসাধীন রূপঙ্কর-পত্নী। তবে চিকিৎসা চলছে, তাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি বলে আশাবাদী গায়ক।