
সোনামণি-প্রতীকের সম্পর্কের গুঞ্জনটেলিপাড়ার জোর গুঞ্জন চুটিয়ে প্রেম করছেন সোনামণি সাহা ও প্রতীক সেন। প্রকাশ্যে সেই প্রেমের ইস্তেহার না হলেও, ভেতরে ভেতরে সেই প্রেম জমে ক্ষীর। প্রতীকের পরিবারের সঙ্গেও ভালই সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সোনামণির। অঞ্জনা বসুর বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোতে সোনামণি এসেছিলেন প্রতীকের মায়ের সঙ্গে। তবে কি শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সোনামণি ও প্রতীক?
সোনামণি ও প্রতীককে নিয়ে সম্পর্কের চর্চা বেশ অনেকদিনের। যদিও তাঁরা নিজেদের সব সময়ই ভাল বন্ধু বলেই দাবি করে এসেছেন। প্রতীক ও সোনামণি এই মুহূর্তে একসঙ্গে কাজ করছেন না। দুজনকেই দেখা যাচ্ছে আলাদা আলাদা সিরিয়ালে। সম্প্রতি সোনামণির সঙ্গে প্রতীকের মাকে অঞ্জনা বসুর জগদ্ধাত্রী পুজোতে দেখার পর থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা আরও উস্কেছে। পরনে কমলা রঙের শাড়ি ও হলুদ রঙের ব্লাউজ, খোলা চুলে সোনামণিকে খুব স্নিগ্ধ লাগছিল। পাশে ছিলেন প্রতীকের মা।

এক সংবাদমাধ্যমকে প্রতীকের মা সোনামণির প্রশংসা করে বলেন, 'অনেক মিষ্টি মেয়েই তো রয়েছে কিন্তু সোনামণি খুব বিশেষ। এই কারণে ওকে সব জায়গায় সঙ্গে নিয়ে যাই।' অভিনেতার মায়ের মুখে এই কথা শুনে সোনামণির মুখেও হাসি দেখা যায়। দুজনেই অঞ্জনা বসুর পুজোতে যোগ দেন। যদিও সোনামণি অন্য এক সংবাদমাধ্যমকে তাঁর ও প্রতীকের বিয়ের প্রসঙ্গে বলেন যে তাঁরা কোখাও নিজেদের সম্পর্কের কথা ঘোষণাও করেননি আর তাঁদের বিয়ের কথাও হয়ে গেল। যদিও বিয়ের প্রসঙ্গ একরকমভাবে এড়িয়ে যান সোনামণি। তাঁরা নিজেদের খুব ভাল বন্ধু বলেই দাবি করেছেন।

প্রতীকের মায়ের সঙ্গে কাজের সূত্রেই আলাপ আর সেখান থেকেই ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁদের নিয়ে আলোচনা হোক তাও চান না সোনামণি। মোহর ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করেন প্রতীক ও সোনামণি। জুটি হিসাবে তাঁদের এই সিরিয়াল দিয়েই হাতেখড়ি হয়। শোনা যায়, সেই ধারাবাহিকের শুটিং থেকেই তাঁদের বিশেষ বন্ধুত্বের শুরু। মাঝে তাঁদের মধ্যে দুরত্বের সৃষ্টি হলেও আবার তা মিটমাট হয়ে যায়। ২০১৫ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সোনামণি। ডান্স কোরিওগ্রাফার সুব্রত রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তবে সেই বিয়ে খুব একটা সুখের হয়নি। বছর দেড়েক যেতে না যেতেই আলাদা হয় পথ। এখনও নিজেকে সিঙ্গল বলেই দাবি করেন সোনামণি।