সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তুলে ধরেছে বলিউডে স্বজনপোষণ,মাদকের যোগের মতো বিষয়। সেই প্রসঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল খুন করা হয় সুশান্তকে। কিন্তু সম্প্রতি AIIMS-র দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা। এই তত্ত্বকে খারিজ করে দেন কঙ্গনা। আবারো এবিষয়ে ট্যুইটারে সরব হন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, "একদিন সকালে ঘুম ভাঙল, তারপর আচমকা নিজেদের মেরে ফেললেন, অল্প বয়সী এবং প্রতিভাসম্পন্ন মানুষদের ক্ষেত্রে এটা কখনই হতে পারে না। সুশান্ত বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রাণের আশঙ্কা ছিল তাঁর। মুভি মাফিয়ারা তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। এমনকি ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত।’’
এখানেই থামেননি কঙ্গনা। তিনি আরও লেখেন, "সর্বশেষ অগ্রগতির সঙ্গে আমাদের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দরকার।
১) এসএসআর বার বার তাঁকে বড় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী এই লোকরা কারা? ২) মিডিয়া কেন তাকে ধর্ষক বলে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দেয়? ৩) কেন মহেশ ভট্ট তাঁর মনঃসমীক্ষণ করছিলেন?
সুশান্তের মৃত্যু ঘটনায় বারংবার নাম উঠে এসেছে মহেশ ভট্টের। এর প্রভাব পড়েছে আলিয়া ভট্টের ওপরও। এবার কঙ্গনার প্রশ্নের জবাবে তাঁকে একহাত নিলেন মহেশ পত্নী অভিনেত্রী সোনি রাজদান। পাল্টা ট্যুইট করে তিনি লিখলেন, "যারা বলছেন যে 'মানুষ হঠাৎ করে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে মেরে ফেলে না’ ... তাঁরা সত্যিই তা করেন না। এটাই হল আসল কথা। এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁরা বহু বছর কষ্টে ভোগেন, সংগ্রাম চালান।” তিনি আরও লেখেন, "দুঃখজনকভাবে তাঁরা কষ্ট থেকে এইসব কারণে আত্মহত্যার করছে।আসুন সবাই বোঝার চেষ্টা করি এটি অসুস্থতা হিসাবে সম্বোধন করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করতে কেউ ভয় বা লজ্জা পাবেন না। সঠিক চিকিৎসা আপনার জীবন রক্ষা করতে পারে।"
মহেশ ভট্টকে বলিউড মাফিয়াদের অন্যতম সদস্য বলে মনে করেন কঙ্গনা। এর জেরে ভট্ট পরিবারের সদস্যদের স্বীকার হতে হয়েছে নানা বিপত্তির। তাহলে পরিবারের স্বার্থেই কি এবার মুখ খুললেন সোনি?