গত বছর দিওয়ালির পর পরই কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর জীবনে এসেছিল ছোট্ট কৃষভি। আর এই বছর দেখতে দেখতে এক বছরে পা দেবে সে। চলতি বছরের অক্ষয় তৃতীয়ার দিন কৃষভির মুখে ভাতের সময়ই মেয়ের মুখ প্রকাশ্যে এনেছিলেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। সেই সময় অনেকেই বলেছিলেন একেবারে কাঞ্চনের কার্বন কপি মেয়ে। এতদিন বাইরের মানুষ বললেও এবার খোদ শ্রীময়ীও অবাক। বাবা ও মেয়ের এত মিল থাকতে পারে, তা কাঞ্চন-পত্নীকেও হতবাক করেছে।
রবিবার শ্রীময়ী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে কাঞ্চন ও কৃষভির ছবি রয়েছে। আর এই ছবির ক্যাপশনে শ্রীময়ী লেখেন, ‘আমি দেখেছি এবং জানি মানুষ একইরকম দেখতে হয়। কিন্তু এক্সপ্রেশনও একইরকম! তাও আবার দশ মাস বয়সে? আমি বাধ্য হলাম কোলাজটা করতে। এটা কী হল কাঞ্চন?’ শ্রীময়ীর বক্তব্য অনুযায়ী, দেখতে একরকম হলেও একই ধরনের অঙ্গভঙ্গী, তাও আবার এত ছোট বয়সে। বেশ অবাকই হয়েছেন তিনি।
গত বছর শ্রীময়ী তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর কাউকে জানতে পর্যন্ত দেননি। একেবারে গোপনেই ছিলেন তিনি। তবে কালীপুজোর রাতে তাঁর ছবি দেখে অনেকের মনেই সন্দেহ বাঁধে যে কাঞ্চন-পত্নী প্রেগন্যান্ট কিনা। আর ঠিক কালীপুজোর পরের দিনই কৃষভির জন্ম হয়। এরপরই নিজের প্রেগন্যান্সি সফরের কথা ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে থাকেন অভিনেত্রী। তবে কৃষভির মুখ ৬ মাস পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনেননি তারকা দম্পতি।
তাই কৃষভিকে মা নাকি বাবা কার মতো দেখতে তা নিয়ে সকলেরই কৌতুহল ছিল তুঙ্গে। তবে সব কৌতুহলের অবসান হয় এই বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। এদিনই কৃষভির মুখ প্রকাশ্যে আসে। আর তখন থেকেই কৃষভিকে যতবার দেখেছেন নেটিজেনরা মন্তব্য করেছেন ‘একেবারে বাবার মুখ বসানো’। এখন কৃষভিকে নিয়েই অবসর সময় কাটে তাঁদের।