
চ্যাটার্জি পরিবারের দুর্গাপুজো বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই জনপ্রিয়। সুদীপা ও অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোতে দেখা মেলে টলিপাড়ার বহু তারকাদের। শত ব্যস্ততার মধ্যেও বাড়ির কত্রী নিজের হাতে তাঁদের অ্যাপায়ন করতে ভোলেন না। মা মারা যাওয়ার পর গত বছর থেকে একা হাতেই পুজোর সব কাজ সামলাচ্ছেন সুদীপা। চ্যার্টাজি পরিবারের ভোগ দেওয়ার নিয়ম একেবারে অন্যরকম। নবমীতে মাকে পাঁঠার মাংস সহ মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে এই পরিবারে। আর সেই নিয়েই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে সুদীপাকে।
সুদীপা-অগ্নিদেবের বাড়ির পুজোর নিয়ম অনুযায়ী সন্ধিপুজোর পর তাঁদের বাড়ির মা আমিষ ভোগ খান। সেই ভোগের থালায় থাকে সাত রকমের মাছ ও নিরামিষ পাঁঠার মাংস। যা রান্না করেন নিজের হাতে সুদীপা আর তারপরই সেই ভোগ নিবেদন করা হয়। কিন্তু সেই ভোগ নিয়েও তাঁকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুদীপা। সুদীপা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাঙালি পুজোয় আমিষ ভোগ খাওয়া নিয়েও কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। এরপরই সুদীপা জানান যে তাঁদের বাড়ির দেবী ঘরের মেয়ে হিসাবে পূজিত। আর দেবী মা যেহেতু সধবা, তাই তাঁকে নিরামিষ ভোদ দেওয়া হয় না চ্যাটার্জি পরিবারে।
গত ১৫ বছর ধরে নিষ্ঠা সহকারে মায়ের পুজো করছেন সুদীপা ও অগ্নিদেব। এই বাড়ির মা খুবই জাগ্রত। আগে এই পুজো হত অগ্নিদেবের আদি বাড়িতে, যা বাংলাদেশের ঢাকা বিক্রমপুরে ছিল। এরপর কলকাতার বাড়িতে সুদীপার বিয়ে হয়ে আসার পর ফের শুরু হয় পুজো। পুজোর চারদিনই সুদীপার বাড়িতে ভিড় করেন টলিপাড়ার তারকারা। এই বছরও সুদীপার বাড়িতে এসেছেন প্রসেনজিৎ, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শোলাঙ্কি রায়, অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা সহ আরও অনেক অতিথি। তাঁরা সকলেই সুদীপার হাতের ভোগের মাংস খেয়ে প্রশংসা করেছেন।
প্রতিবছরই সুদীপার বাড়ির মায়ের ভোগ একই রকম থাকে। মেদিনীপুরের গয়না বড়ি থাকে সেই ভোগে। মা একেক দিন একেক রকমের ভোগের চাল খান। তাতে থাকে রায়গঞ্জের তুলাইপঞ্জি, ঢাকার চিনিগুঁড়া, বাঁশকাটি চাল আছে, গোবিন্দভোগ আছে, রাধাতিলক থাকে। সুদাপা বলেন, আমরা চেষ্টা করি মাকে সব ধরনের ফল দেওয়ার। আসলে আমাদের ভোগ কোনওভাবেই বদলানো যায় না। সাত রকমের মাছ, নিরামিষ মাংস এগুলো থাকে একেবারে পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া। ভোগের সাত রকমের মাছে থাকে পাবদা মাছ, পার্শে মাছ, ইলিশ মাছ, কাতলা, কুড়ি মাছ, কাজরি ইলিশ আর ট্যাংরা মাছ।