টলিউডের গ্ল্যামারস ও সাহসী অভিনেত্রী হিসাবে পরিচিত স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। নিজের অভিনয় দিয়ে যে কোনও চরিত্রে সাবলীল তিনি। রিল লাইফে তাঁর সাহসী অবতার বরাবর প্রশংসার দাবি রেখেছে। তবে পর্দাতেই নয়, স্বস্তিকা সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিজের বোল্ড লুকের ছবি দিয়ে পুরুষ হৃদয়ে একাধিকবার ঝড় তুলেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। সোশ্যাল মিডিয়া যখন বার্বি লুকস নিয়ে মত্ত ঠিক তখনই স্বস্তিকার বোল্ডনেস সকলকে ক্লিনবোল্ড করে দিল বলা চলে।
স্বস্তিকা বরাবরই বডি পজিটিভিটি নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসেন। মাঝে মাঝেই তিনি এই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলে থাকেন। রবিবারের রাতে স্বস্তিকা এমনই কিছু ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি এক কঠিন বাস্তবকে সামনে নিয়ে এসেছেন। তোয়ালে জড়িয়ে মিরর সেলফিতে বেশ কিছু ছবি তুলেছেন অভিনেত্রী। আর ক্যাপশনে তুলে ধরেছেন এক বাস্তব সত্যকে। স্বস্তিকা লিখেছেন, 'বয়স যখন ৪০ ছুঁয়ে যায় তখন আমার স্তনযুগলও আর আগের মতো নিটোল থাকে না। তখন সেগুলো মোটেই ক্যামেরন ডিয়াজের মতো দেখতে লাগে না।'
তোয়ালে জড়ানো ছবিতে স্বস্তিকার অন্তর্বাসের স্ট্র্যাপ একেবারে স্পষ্ট। তবে সেই দাগ তিনি গোপন রাখতে চান না, বরং গর্বের সঙ্গে দেখাতে পছন্দ করছেন। স্বস্তিকার মতে, প্রতিটি মহিলা দিনে ১২ ঘন্টার বেশি অন্তর্বাস পরে থাকেন। এই দাগগুলো হার্টব্রেকের থেকেও বেশিক্ষণ থেকে যায়। তাই আমি এই অন্তর্বাসের স্ট্র্যাপের দাগ নিয়েই খুশি। স্বস্তিকা তাঁর লেটেস্ট ইনস্টাগ্রাম পোস্টে freckles নিয়েও দু-চার শব্দ খরচ করেছেন। তাঁর কথায়, আমি এই ফ্রিকেলস নিয়েও কিন্তু, বেশ খুশি। এটা কোনও চর্ম রোগ নয় যে চিকৎসকের কাছে গেলেই ঠিক হয়ে যাবে। এমনও না যে বয়সের সঙ্গে এগুলো স্কিনে ফুটে ওঠে। তাই এই লাল দাগগুলো নিয়েই আমি একদম ভালো আছি।
প্রসঙ্গত, মেয়েদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চেহারার আমূল পরিবর্তন ঘটে। সেটা সাধারণ একটা মেয়ে হোক অথবা কোনও গ্ল্যামারস তারকা। ৪০-এর পর থেকেই মেয়েদের শরীরে যে সব পরিবর্তন দেখা যায়, তা নিয়েই কথা বলেছেন স্বস্তিকা। অভিনেত্রীর এই পোস্ট দেখার পর অনেকেই তাঁর এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসার জন্য অভিনেত্রীর প্রশংসা করেছে। এই পোস্টে নিজের ছোট্ট ঝুটি নিয়েও কথা বলতে পিছুপা হননি তিনি। তিনি বলেন, প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর পর যখন চুল একটু বড় হয় আর ঝুটি বাঁধা যায় সেটা বেশ আনন্দের। তাই আমি আমার এই ছোট্ট ঝুটি খানা দেখিয়ে মজা পাচ্ছি।