NOTIFICATIONS
15th Nov
আচমকা সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ প্রয়াত ঐন্দ্রিলা 
গত বছর নভেম্বর মাসে প্রয়াত হন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে যান অভিনেত্রী। দু'দুবার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেও শেষরক্ষা হল না। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা টলিউড। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর আটমাস পর হঠাৎ করে অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ সক্রিয় হয়ে উঠল। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম নয়, ইউটিউবে দেখা গেল স্বয়ং ঐন্দ্রিলাকেই।
রবিবার হঠাৎ করে ঐন্দ্রিলা শর্মার ইউটিউব চ্যানেল সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায়। সেখানে দেখা গেল ১১ বছর বয়সি ঐন্দ্রিলার এক ভিডিয়ো। এটিই ছিল অভিনেত্রীর জীবনের প্রথম বিজ্ঞাপনের কাজ। এই ভিডিওতে একটি নামী স্বর্ণ অলঙ্কারের দোকানের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে ঐন্দ্রিলাকে। এই ভিডিও পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ভিউজ দুই হাজারের ছাড়িয়ে যায়। অনেকেই ঐন্দ্রিলার কথা স্মরণ করে কমেন্টও করেন।
আসলে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর তাঁর ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব চ্যানেলটি সচল রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন মা শিখা শর্মা ও দিদি ঐশ্বর্যা শর্মা। তাই অভিনেত্রীকে সকলের মনে চিরস্থায়ী রাখতে মাঝে মাঝে ঐন্দ্রিলার পুরনো ভিডিও পোস্ট করে থাকেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলা জীবিত থাকার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময়ই অ্যাক্টিভ থাকতেন। নিজের ট্রাভেল ব্লগও খুলেছিলেন। সেখানে তাঁর ঘুরতে যাওয়ার নানান মুহূর্তকে তুলে ধরতেন তিনি। কিন্তু অভিনেত্রীর আচমকা মৃত্যুতে সবকিছু যেন থমকে যায়। আসলে অভিনেত্রীর চলে যাওয়াকে আজও মানতে পারেনি তাঁর পরিবার। তাঁর স্মৃতিকে তাঁরা মুছে ফেলতে চান না।
‘জিয়ন কাঠি’ খ্যাত অভিনেত্রীর মা বর্তমানে তাঁর ফোন নম্বর থেকে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সবই ব্যবহার করে থাকেন। অপরদিকে, ঐন্দ্রিলার দিদিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বেশ অ্যাক্টিভ। এতদিন পর পছন্দের অভিনেত্রীর আপডেট পেয়ে খুশি অনেকেই। তাঁদের কেউ কেউ আবার ভেসে গেলেন নস্টালজিয়ায়। স্মৃতি হাতড়ে মনে করলেন অনেক কিছুই। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন অবিনয় জগত থেকে দূরে ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী। তবে তিনি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছেন। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি মাস খানেক আগে ‘রামপ্রসাদ’ ধারাবাহিকের হাত ধরে কাজ ফিরেছেন আবার। সঙ্গে শুরু করেছেন তাঁর ইউটিউবে নতুন জার্নিও।
গত বছর নভেম্বরে হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ঐন্দ্রিলা। শেষে টানা ১৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে ২০ নভেম্বর তিনি প্রয়াত হন। ভেঙে পড়েন তাঁর পরিবারের সকলে।
