বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ দিব্যানী মণ্ডল। বর্তমানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে ফুলকি সিরিয়ালে। কেরিয়ারের প্রথম সিরিয়াল হলেও দিব্যানী ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করে ফেলেছেন। পর্দায় দিব্যানী ও অভিষেক বসুর রসায়ন ইতিমধ্যেই দারুণভাবে হিট। তবে অভিনয়ের বাইরেও দিব্যানীর রয়েছে এক অন্য ধরনের জগত। যেখানে তিনি দিনরাত মগ্ন থাকতে পারেন। আসলে অভিনেত্রী কৃষ্ণভক্ত। তাঁর বাড়িতে নিত্যপুজো হয় কৃষ্ণ-রাধার। আর শ্যুটিং থেকে সময় পেলেই দিব্যানী চলে যান কৃষ্ণের মন্দিরে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না।
শ্যুটিং থেকে একটু ছুটি মিলতেই দিব্যানী ছুটে গিয়েছেন মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে। সেখানে অভিনেত্রী মাথায় তিলক ও গায়ে নামাবলি জড়িয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই ছবি শেয়ার করে দিব্যানী লিখেছেন কৃষ্ণাপ্রিয়া। হ্যাঁ, প্রকৃত অর্থে দিব্যানী কৃষ্ণাপ্রিয়া। তাঁর বাড়িতে অধিষ্ঠিত রয়েছে পাঁচটি গোপাল এবং একজন রাধা। নিত্য পূজিত হন কৃষ্ণ-রাধা। বাড়ি থেকে কলকাতা আসবার সময় কৃষ্ণ ও রাধার কাঠের মূর্তি সঙ্গে এনেছেন দিব্যাণী। সবসময় তাঁদের নিজের কাছে রাখেন তিনি।
শুধু তাই নয়, মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই মাছ-মাংস সহ আমিষ খাবার একেবারে খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন দিব্যানী। সম্পূর্ণ নিরামিষ আহার করেন কৃষ্ণভক্ত অভিনেত্রী। ছোট থেকেই কৃষ্ণ তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড। কৃষ্ণের প্রতি তাঁর ভক্তি চোখে না দেখলে নয়। দিব্যানীর কথায়, কৃষ্ণের নাম জপ করলে তিনি বেশি করে অভিনয়ে মনোযোগ দিতে পারেন। শ্যুটিং সেটে মাছ-মাংসের দৃশ্য থাকলে দিব্যাণীর জন্য মিষ্টি দিয়ে তৈরি মাছ বা মাংস আসে। নিজের পেশাগত দায়িত্ব আর স্পিরিচুয়াল দিক বজায় রাখার চেষ্টা করছেন দিব্যাণী।
দাদাগিগির মঞ্চ দিব্যাণীকে বলতে শোনা গিয়েছে, স্কুল ও কলেজ জীবনে স্পোর্টস নিয়ে ব্যস্ত থাকায় খুব বেশি বন্ধু হয়নি তাঁর। বাবা-মা আর ভাইকে নিয়েই তার জগত। আর তার বাইরে দিব্যানির সারাক্ষণের সঙ্গী কৃষ্ণ ও রাধারানি। শুটিংয়ের পোশাক না পরে থাকলে, গলায় তুলসীর মালাও পরেন দিব্যানী। ধর্ম পথে লিপ্ত থেকেছেন ছোট থেকেই। কৃষ্ণের ভক্ত বলেই তিনি কেরিয়ারকে এত সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন।