
টেলিভিশনের চেনা মুখ প্রেরণা ভট্টাচার্য। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রেরণাকে ডেইলি ভ্লগ করতেও দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছোট ছোট মুহূর্তগুলিকে ভাগ করে নিতে ভালোবাসেন অভিনেত্রী। 'জগদ্ধাত্রী' সিরিয়ালে 'সাংভি' নামেই এখন পরিচিত তিনি। বহুদিন ধরেই টেলিপাড়ায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন প্রেরণা। যদিও এই বিষয়ে অভিনেত্রী নিজে কিছুই মুখ ফুটে বলেননি। কিন্তু বিশেষ একজনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করতেই তাঁর প্রেমের গুঞ্জনের আগুনে ফের ঘি পড়ল।
পুজোর সময় প্রেরণা বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন যেখানে তাঁকে একজনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। সেই ব্যক্তির সঙ্গে প্রেরণা আলাদা করে সেলফি পোস্ট করেছেন। পুজোয় সেই ব্যক্তির সঙ্গে আলাদা করে প্রেরণা ঘুরতে গিয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি, তবে বন্ধুদের সঙ্গেই প্রেরণা ও সেই ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। অভিনেত্রীর মতো তিনিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। প্রেরণাকে এই ব্যক্তির সঙ্গে একাধিক রিলস ভিডিও শেয়ার করতেও দেখা গিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বিশেষ বন্ধু প্রেরণাকে দশমীতে প্রথম সিঁদুর ছোঁয়ান। দেবী বরণের সময়ও প্রেরণার সঙ্গে তাঁর বিশেষ বন্ধুকে দেখে অনেকেই মনে করছেন অভিনেত্রী নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। প্রেরণার সেই কাছের মানুষের নাম শুভজিৎ কুণ্ডু। প্রেরণার মতো তিনি সোশ্যাল ইনফ্লুয়েঞ্জার। তাঁর ফলোয়ার্সের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রেরণার সঙ্গে বেশ কিছু ভিডিও-রিলসেও দেখা গিয়েছে শুভজিৎ কুণ্ডুকে।
বহু বছর ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন প্রেরণা। বর্তমানে ছোটপর্দায় একাধিক ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করলেও অভিনেত্রী প্রেরণা ভট্টাচার্যের অভিনয় শুরুটা হয়েছিল মুখ্য চরিত্র দিয়ে। এর আগে ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’তে কৃতির চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। একাধিক ধারাবাহিকে পজেটিভ-নেগেটিভ চরিত্রে নিজের অভিনয় দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পাকাপাকি জায়গা দখল করে নিয়েছেন তিনি। প্রেরণার মা নিজেও একজন অভিনেত্রী, যিনি বড়পর্দা ও ছোটপর্দা দু জায়গাতেই চুটিয়ে অভিনয় করেছেন।
২০১৬ সালে জনপ্রিয় টলি অভিনেতা ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রেরণার। কিন্তু সেই সংসার টেকেনি। ডিভোর্স হয় ইন্দ্রনীল ও প্রেরণার। এরপর ইন্দ্রনীল বিয়ে করেন সায়ন্তনীর সঙ্গে। কিন্তু প্রেরণা সিঙ্গলই ছিলেন এতদিন। তবে শুভজিতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিছকই বন্ধুত্বের নাকি মন দেওয়া-নেওয়া হয়ে গিয়েছে সেটা একেবারেই স্পষ্ট নয়।