টেলিভিশনের পরিচিত মুখ শার্লি মোদক। যিনি রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার সিরিয়ালের মাধ্যমে। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই পর্দার হংসিনী জানিয়েছিলেন যে তাঁর পাঁচ বছরের প্রেম ভেঙে গিয়েছে। প্রেমিক মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্যের সঙ্গে আর সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই না বলেই জানান শার্লি। তবে পুজোতেই একেবারে ভোল গেল বদলে। অভিনেত্রী ফিরে এলেন তাঁর প্রাক্তনের কাছেই। ব্রেকআপের ১০ মাস পর পুজোর সময় কাছাকাছি এলেন মৃত্যুঞ্জয় ও শার্লি।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই খোলামেলা শার্লি। নিজেদের প্রেম সম্পর্ককে কোনওদিন লুকিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী। ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’ নায়িকা শুরুতেই খুল্লমখুল্লা তাঁর প্রেম। মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্যের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন শার্লি। নায়িকা অবশ্য তাঁকে নীল বলেই ডাকতেন। অভিনেত্রীর হাত ‘Nil’ নামটি ট্যাটুতে খোদাই করা পর্যন্ত রয়েছে। সম্পর্ক ভাঙলেও সেই ট্যাটু কিন্তু শার্লির হাতে জ্বলজ্বল করছে আজও। তবে আর সেই ট্যাটু মোছার দরকার নেই। পুজোতেই প্যাচআপ হয়ে গেল নীল ও শার্লির।
শার্লি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে এই কয়েকমাস আলাদা থাকার পরই তাঁরা একে-অপরের প্রতি টান অনুভব করেছেন। তাই আবার তাঁরা একসঙ্গে হয়েছেন। পুজোটা একসঙ্গেই কাটিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে চোখ রাখতেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন নেটিজনরা। শার্লি-মৃত্যুঞ্জয়ের যুগল ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছিল পুজোর সময়ে।
দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রেম ছিল শার্লি এবং মৃত্যুঞ্জয়ের। চলতি বছরের শুরুতেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রীর। শার্লি বলেছিলেন, পাঁচ বছর পর সিঙ্গেল লাইফ বেশ উপভোগ করছেন তিনি। বেশ খুশিই ছিলেন তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, এক ধাক্কায় যেন অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু দশ মাস কাটতে না কাটতেই একে অপরের বিরহে কাতর হয়ে উঠলেন তাঁরা। তাই আবার ফেরা। মৃত্যুঞ্জয়ও মডেলিং করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে শার্লিকে দেখা গিয়েছিল ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ সিরিয়ালে। চলতি বছরের শুরুতেই শেষ হয়ে গিয়েছে সেই ধারাবাহিক। বর্তমানে ‘ফুলকি’ সিরিয়ালে খলনায়িকা শালিনীর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে শার্লি মোদককে।