আর মাত্র তিনমাস। তারপরই অনুরাগের ছোঁয়া খ্যাত মিশকা তথা অহনার জীবনে আসবে তার সন্তান। স্বাভাবিকভাবেই অহনা ও দীপঙ্কর তাঁদের আসন্ন সন্তানের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। আর এই সময় মেয়েরা তাঁদের মায়েদের কাছ থেকে আদর-ভালোবাসা আশা করে থাকেন। তবে অহনার জীবনে এই সুখ প্রাপ্তি হবে না। কারণ দীপঙ্করের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পরই অহনার মা চাঁদনি গঙ্গোপাধ্যায় সব সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন মেয়ের সঙ্গে। কিছুদিন আগেই এক সংবাদমাধ্যমকে অহনা জানিয়েছিলেন যে তাঁকে সাধ খাওয়ানোর কেউ নেই। আর মেয়ের প্রেগন্যান্সিতে সব অভিমান ভুলে মা কি তাঁকে সাধ খাওয়াবেন?
এক সংবাদমাধ্যমকে অহনার মা চাঁদনি জানিয়েছেন যে তাঁর জীবনে মেয়ে অহনার কোনও অস্তিত্বই নেই। চাঁদনি এও জানিয়েছেন যে শহরে অনেক কিছুই ঘটছে। সকলের জীবনেও অনেক কিছু ঘটছে। সবকিছুর হদিশ রাখা একেবারেই সম্ভব নয়। বাবা ও নাচের স্কুল নিয়ে দিব্যি আছেন অহনার মা চাঁদনি। কিছুমাস আগেই চাঁদনির মা তথা অহনার দিদা মারা গিয়েছেন। সেই সময় অহনা মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন যে তাঁকে শেষবারের মতো দিদাকে দেখতে দেওয়া হয়নি। দীপঙ্করের সঙ্গে অহনার সম্পর্ক কখনই মেনে নিতে পারেননি মা চাঁদনি। আর এই নিয়েই মা-মেয়ের রীতিমতো মুখ দেখাদেখি বন্ধ।
অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালে কাজ করতে গিয়েই মেকআপ আর্টিস্ট দীপঙ্কর রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে অভিনেত্রীর। কিন্তু ডিভোর্সি দীপঙ্করের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক হোক তা প্রথম থেকেই মানতে নারাজ ছিলেন মা চাঁদনি। তবে মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে দীপঙ্করের সঙ্গে ঘর বাঁধেন অহনা। বিয়েটাও সেরে ফেলেছেন। আর মার্চেই জানিয়েছেন সন্তান আসার খবর। চাঁদনি জানিয়েছেন যে মেয়ের অস্তিত্বই নেই, তাই রাগ-অভিমান কোথা থেকে আসবে। মা চাঁদনি বলেন যে আগে মেয়ের প্রসঙ্গ উঠলে রাগ, কান্না পেত, কিন্তু এখন আর কোনও অনুভূতিই আসে না। চাঁদনির কথায়, শুধু যে তাঁকে মেয়ে ছেড়ে গিয়েছে তেমনটা নয়, আগেও তিনি কাছের মানুষকে হারিয়েছেন।
এখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অহনা। কিছুদিন আগেই নিজের বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। স্বামী দীপঙ্কর, শ্বশুর ও দুই পোষ্যকে নিয়ে অহনার সুখের সংসার। গত বছরই শাশুড়ি মারা গিয়েছেন, তাতে অবশ্য শ্বশুরবাড়ির আদরে কমতি হয়নি। তবে অহনার আক্ষেপ ছিল তাঁকে সাধ খাওয়ানোর কেউ নেই। এক সংবাদমাধ্যমকে অহনা জানিয়েছেন যে তিনি আর কিছুদিন পর নিজের সাধের আয়োজন করবেন।