
এখনও কলেজের গণ্ডি পেরোননি আর এরই মধ্যে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেত্রী অনন্যা গুহ। প্রেমিক সুকান্ত কুণ্ডুর সঙ্গে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে থেকেই চুটিয়ে প্রেম করছেন। পড়াশোনা, প্রেম ও অভিনয় তিনটেই সামলাচ্ছিলেন অনন্যা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হবে বিয়েও। পরের বছরই বিয়ে করছেন অনন্যা ও সুকান্ত। বাগদান পর্ব এই বছরেই সেরে ফেলেছেন। এবার পরের বছর বিয়ের প্রস্তুতি এখন থেকেই সারছেন। কিন্তু এত কম বয়সে কেন বিয়ে করছেন অনন্যা?
খুব ছোট বয়স থেকেই অবিনয় করছেন অনন্যা। বাংলা ধারাবাহিকে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় খলনায়িকা। খুব অল্প বয়সেই নাম-খ্যাতি সবটাই পেয়েছেন অভিনেত্রী। তার ওপর অনন্যা নিজের ভ্লগও করেন। সেখান থেকেও মোটা টাকা উপার্জন হয় তাঁর। কিন্তু মাত্র ২১ বছর বয়সেই সুকান্তর সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি। এক সংবাদমাধ্যমকে অনন্যা জানিয়েছেন যে তিনি সফল সম্পর্কে বিশ্বাসী। সুকান্তর সঙ্গে অল্প কিছুদিনের আলাপে বুঝে গিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর সঙ্গে গোটা জীবন হেসে-খেলে কাটাতে পারবেন।
অনন্যা গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির হলেও সুকান্ত কিন্তু একেবারেই এই ইন্ডাস্ট্রির বাইরে। পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সুকান্তের নিজস্ব ডেইলি ভ্লগিংয়ের চ্যানেল রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত খুবই পরিচিত মুখ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর চ্যানেলের নাম Lets be confused। বহু বছর ধরেই সুকান্ত তাঁর ভ্লগিং করে আসছেন। রয়েছে নিজস্ব ফ্ল্যাটও। যদিও তিনি মালদার ছেলে। অনন্যা ও সুকান্তর ঘটকালি করেছিলেন অভিনেত্রীর দিদি অলকানন্দা। সুকান্ত অনেকটাই বড় অনন্যার থেকে। কিন্তু বয়সের ফারাক তাঁদের সম্পর্কে কোনও বাধা হয়নি। অনন্যার কথায়, সুকান্ত জানে যে সে জীবনে কী করতে চায়। ইতিমধ্যেই বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে দুই বাড়িতে।
আগামী বছরের শুরুতেই সুকান্ত-অনন্যা বিয়ে করবেন। সুকান্তের এক ভ্লগ থেকেই জানা গিয়েছে যে বরযাত্রীদের তালিকা তৈরি করতে বসে পড়েছেন সুকান্তর মা ও হবু বউ। বিয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে এক সংবাদমধ্যমকে অনন্যা বলেন যে তাঁর আদিবাড়ি কল্যাণীতে হওয়ায় সেখান থেকেই বিয়ে হবে। তারপর সেখান থেকে মালদা যাবেন, সেখানে বৌভাতের অনুষ্ঠান। মালদায় কিছুদিন থাকবেনও তাঁরা। বাঙালি সাবেক সাজেই বিয়েতে ধরা দেবেন অনন্যা। তবে বৌভাতের সাজে চমক থাকছে, সেটা এখনই বলতে চান না অভিনেত্রী।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই দুই বাড়ির সদস্য ও কাছের বন্ধুদের উপস্থিতিতে আংটি বদল সারেন অনন্যা ও সুকান্ত। সেদিন সকালে হয় আশীর্বাদও। সুকান্তর বাড়িতে সব সময় থাকা নিয়ে হোক অথবা পোশাক নিয়ে, সব সময়ই ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে অনন্যাকে। তবে হবু স্ত্রীকে সবসময়ই আগলে রাখেন সুকান্ত। মাঝে মাঝেই তিনি অনন্যার হয়ে ট্রোলারদের যোগ্য জবাব দেন। এবার অপেক্ষা অনন্যা ও সুকান্তকে বিয়ের সাজে দেখার।