রথযাত্রা চলে আসা মানেই পুজো পুজো গন্ধ পাওয়া। পুজোর কাঠি ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে। এবছর পুজো সেপ্টেম্বরে তাই খুঁটিপুজো রথের আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। থিম পুজোর প্রস্তুতি শুরু। আর পুজো মানেই মহালয়া। আর এইদিন ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী না শুনলে বাঙালির শারদীয়া শুরুই হয় না। তবে গত কয়েক বছর ধরে চ্যানেলে চ্যানেলে মহালয়ার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। যা দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। আর এরই মধ্যে স্টার জলসা সামনে নিয়ে এল মহালয়ার টিজার।
এই মহালয়ার অনুষ্ঠান নিয়ে চ্যানেলে চ্যানেলে প্রতিযোগিতা থাকে তুঙ্গে। তারই মাঝে স্টার জলসায় দেখা গেল মহালয়ার প্রথম টিজার। পঞ্জিকা মতে, এ বছর দেবীর আগমন হবে গজে। আর সেটাই দেখানো হল টিজারে। টিজারের শুরুতেই দেখানো হয়েছে, একটা রুক্ষ-শুষ্ক অঞ্চলে বেশ কিছু শকুন বসে। আর শকুন দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেখানে মানব জীবন বিপর্যস্ত। আর তার মাঝেই সেই শুকনো মরুতে নূপুর পরা আলতা রাঙা দেবীর চরণ। দেবীর চরণ স্পর্শে সেই শুকনো মাটি হয়ে ওঠে সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা। তারপর দেখা যায় গজরাজ অর্থাৎ হাতির পা। আবহ থেকে একটি কন্ঠে শোনা যায়, ‘মা আসছেন গজে, নিয়ে আসছেন শান্তির আশীর্বাদ।’ তারপরই দেবীর বাহন সিংহকে দেখা যায় হুঙ্কার ছাড়তে। গাছের ডালে উড়ে এসে বসে দেবী লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা।
টিজারে শোনা যায়, শষ্য শ্যামলা হয়ে উঠবে পৃথিবী। আর তখনই পর্দায় দেবী ত্রিশূল হাতে হাতির পিঠে। সোনালি ধানে ভরা মাঠ দিয়ে মৃদুমন্দ গতিতে এগিয়ে চলেছে গজরাজ, আর তাঁদের দূর থেকে দেখছে কার্তিকের বাহন ময়ূর। আর গজরাজে উপবিষ্ট দেবীর পিছে পিছে আসছে বনের সব পশুরা। তারপরই আবহ থেকে ভেসে আসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে সেই অতি পরিচিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। স্টার জলসার এই অনুষ্ঠানের নাম মাতৃরূপেণ সংস্থিতা। তবে এটা পুরোটাই দেখানো হয় অ্যানিমেটেড ভিডিওর মাধ্যমে। তাই দেবী দুর্গা কে হচ্ছেন, তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।
বাংলার চ্যানেলগুলিতে দেবী দুর্গা রূপে দেখা গিয়েছে কোয়েল, শুভশ্রী, শ্রাবন্তী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। যদিও এই বছর দেবী দুর্গা কে হচ্ছে কোন চ্যানেলে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এই বছর দুর্গাপুজো শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে। আর বিজয়া দশমী পালিত হবে ২ অক্টোবর। ২০২৫-এ মহালয়া বা সর্বপিতৃ অমাবস্যা পালিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার।