টেলিপাড়ায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মুখ চেনা থাকলেও সিরিয়ালের পরিচালকদের খুব একটা চেনা-পরিচিতি থাকে না। বিশেষ করে তাঁরা যদি টানা কাজ না করেন তাহলে বিস্মৃতির অন্তরালে চলে যেতে খুব বেশি সময় নেয় না। সেরকমই এক পরিচালক হলেন অয়ন সেনগুপ্ত। যিনি একটা সময়ে টেলিপর্দায় হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। কে আপন কে পর, কী করে বলব তোমায়, এই পথ যদি না শেষ হয়-এর মতো হিট সিরিয়াল রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। সেই পরিচালককেই দেখা গেল ফুটপাতে দোকান চালাতে। দক্ষিণ কলকাতার তপন থিয়েটারের সামনে রয়েছে তাঁর খাবার দোকান। গত দুবছর ধরে কোনও কাজ না থাকার কারণে সংসার চালানোর তাগিদে খাবারের দোকান দিয়েছেন এই টেলি পরিচালক।
অয়নের সিরিয়ালের মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পান স্বস্তিকা দত্ত, ক্রুশাল আহুজা, অন্বেষা হাজরা, ঋত্ত্বিক, পল্লবী শর্মা, বিশ্বজিৎ ঘোষ। সেই পরিচালক ফেসবুক লাইভে এসে জানিয়েছেন যে তাঁর গত ২ বছর ধরে কোনও কাজ নেই। ফেসবুক লাইভে এসে পরিচালক বলেন, বিগত ২ বছর ৩ মাস আমার টানা কাজ নেই। আপনারা সকলেই জানেন যে আমি ধারাবাহিক পরিচালনা ও মাঝে মধ্যে অভিনয়ও করি। আমার পুত্রসন্তান আছে। আর বিষয়টি নিয়ে আমি খুব চিন্তিত হয়ে পড়ি। একটুখানি অভাবের মধ্যেও ছিলাম। সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য়ই একটা নতুন উদ্যোগ নিয়েছি।
এর সঙ্গে যদিও পরিচালক অয়ন এও বলেন যে তিনি কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি একেবারেই ছাড়েননি। মঞ্চে বা সিরিয়ালে অভিনয়ের কাজ তিনি ছাড়তে চাইছেন না। অয়নের স্ত্রীও এই খাবার দোকানে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি। পরিচালক এও জানান যে তিনি ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই অভিনয় ছাড়েননি, থিয়েটারের দল তাঁরা চালিয়ে যাবেন। এই খাবারের দোকান তাঁদের দ্বিতীয় উপার্জনের রাস্তা। পরিচালনার কাজ করলে অয়ন অবশ্যই সেটা করবেন। এরপর অয়ন তাঁর খাবারের দোকানটি ঘুরেও দেখান।
গত ২১ নভেম্বর থেকে তপন থিয়াটারের সামনে এই খাবারের দোকান দিয়েছেন পরিচালক। পরিচালক জানিয়েছেন তাঁদের মেনুতে রয়েছে, খাবারের মেনুতে রয়েছে, ঘুঘনি, ভেজিটেবল চপের মতো আরও সুস্বাদু খাবার। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে অয়ন জানিয়েছেন, আমার কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু গত দু’বছর ধরে দুটো বিষয় দেখেছি। যাঁরা নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন, তাঁরাই নিয়মিত কাজ করছেন। আর যাঁরা কাজ পান না বা পাচ্ছেন না তাঁদের কিন্তু কাজ জুটছেই না! আমার ঠিক কোথায় ত্রুটি? কেউ বলতে পারছেন না। কিন্তু কাজও দিচ্ছেন না।