বাংলায় বহুদিনের এক প্রচলিত কথা রয়েছে মেয়েদের মায়ের মতো দেখতে হলে তাঁদের ভাগ্য নাকি খারাপ হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সব মেয়েরাই চায় যে তাদের যেন মায়েদের মতোই দেখতে হয়। ব্যতিক্রম নন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এমনিতেই মা-বাবার সঙ্গে অভিনেত্রীর টান খুবই গভীর। মা-বাবা মারা যাওয়ার পর সেই অনুভূতি যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। স্বস্তিকা প্রায়ই তাঁর অভিভাবকদের নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দেন। আর বিয়ের এই মরশুমে স্বস্তিকা অভিযোগ করলেন তিনি কোনও নেমন্তন্ন পাননি আর তাই পুরনো ছবি পোস্ট করে মায়ের স্মৃতিতে ডুব দিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শনিবার স্বস্তিকা একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে অভিনেত্রীর মা তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে বসে রয়েছেন। লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে অভিনেত্রী মা বসে আছেন গালে হাত দিয়ে, পাশে বসে স্বস্তিকা ঠিক একই ভাবে গালে হাত দিয়ে বসে। মায়ের পাশেই বসে স্বস্তিকার বোন অজপা। তবে এই ছবি শেয়ার করতে নেটিজেনরা বলছেন অভিনেত্রীকে দেখতে ঠিক একেবারে তাঁর মায়ের মতোই। ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, মায়ের মতো দেখতে লাগবে - জীবনের একমাত্র লক্ষ্য আমার। মায়ের মতো চুল হবে, মায়ের মতো বসব, কথা বলব - মায়ের ছায়া হয়ে বাঁচব।
অভিনেত্রী এরপর আবেগঘন হয়ে লেখেন, ছোটবেলাটা বেশ ছিল, হঠাৎ কবে যেন বড় হয়ে গেলাম। চারদিকে এত বিয়েবাড়ি, আমাদেরও একটা বিয়েবাড়ির ছবি খুঁজে পেলাম। এর আগেও স্বস্তিকা তাঁর মা ও বাবার ছবি শেয়ার করে তাঁদের স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন। মায়ের সঙ্গে কাটানো স্মৃতি মাঝেমাঝেই হাতড়াতে দেখা যায় স্বস্তিকাকে। অভিনেত্রীর মায়ের গল্প শুনতে বেশ ভালোবাসেন তাঁর অনুরাগীরাও।
মা মারা গিয়েছেন বেশ কয়েক বছর। তারপর বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সময় কাটত অভিনেত্রীর। কিন্তু বাবা চলে যাওয়ার পর অনেকটাই একা হয়ে পড়েন নায়িকা। মেয়ে অন্বেষাও পড়াশোনার জন্য শহরের বাইরে। সঙ্গী বলতে স্বস্তিকার বাড়ির পোষ্যরা আর কাছের কিছু বন্ধু-বান্ধব। ১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। দু’বছরের মাথাতেই তার সংসার ভেঙে যায়। এখনও সেই ডিভোর্সের মামলা বিচারাধীন। একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও এখন আপাতত সিঙ্গল তিনি।