
পরনে হলুদ রঙের শাড়ি। কপালে ও গালে চন্দন, মাথায় টিকলি, গলায় হার, মাথায় ওড়না। চাইনিজ কাট চুল। গোল গোল চোখে চিবুক নামিয়ে ছবি তুলেছে যে বাচ্চা মেয়েটি, টেলি দুনিয়ায় এই মুহূর্তে খুবই জনপ্রিয় ও চর্চিত। এখন অবশ্য ছোটটি নেই। তাঁর মিষ্টি চেহারা ও ব্যবহার দিয়ে তিনি দর্শকদের নয়নের মণি। সম্প্রতি নতুন ফ্ল্যাটও কিনেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরস্বতী পুজোর দিন এই ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। দেখে চিনতে পারছেন?
ছোটবেলার এই ছোট্ট মেয়েটিকে এখন দেখলে সত্যিই চেনা দায়। দুবছর আগে ফেসবুকে নিজের ডিভোর্সের কথা ঘোষণা করে রীতিমতো শিরোনামে এসে গিয়েছিলেন। অভিনেত্রীর স্বামী টলিউডের খ্যাতনামা নায়ক। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কার কথা বলছি। সরস্বতী পুজোর দিন নবনীতা দাস তাঁর ছোটবেলার ছবি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি হলুদ রঙের শাড়ি পরে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছেন। আর অভিনেত্রীর এই ছবি দেখে সকলেই ছোট্ট নবনীতার প্রশংসা করেছে।
২০১৯ সালে বিয়ে করেছিলেন জিতু কমলকে। ওই বছরের ৬ মে অগ্নি সাক্ষী রেখে দুজনে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই ছন্দপতন। তবে ব্যর্থ সম্পর্কের বোঝা কাটিয়ে, অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন আপাতত জিতু আর নবনীতা দুজনেই। কাজে মন দিয়েছেন। ডিভোর্সের পর বিয়ের ফুল, তুমি আশে পাশে থাকলে ধারাবাহিকে কাজও করেন নবনীতা। মাসখানেক আগে নতুন বাড়িতে পুজো ছিল তাঁর। বেশ যত্ন নিয়ে ফ্ল্যাটটি সাজিয়েছেন। এটাই এখন তাঁর নতুন ভালো-বাসা।
মাঝে নবনীতার সঙ্গে এক ব্যবসায়ীর সম্পর্কের কথা শোনা গেলেও সেটা মিথ্যে বলে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ২০২৪-এর শুরুতেই নবনীতা সিলমোহর দিয়ে জানান, আইনত এখন তিনি ডিভোর্সি। ২০২৩-এর ১৭ নভেম্বর বিবাহ-বিচ্ছেদ হয় জিতু-নবনীতার। ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ধারাবাহিকে কাজ করার সময় যে রূপকথার সফর শুরু হয়েছিল, তা শেষ হয় আচমকাই। পুরনো সম্পর্ক ঠিকঠাক হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে। একসময় ভালোবেসে নবনীতাকে ‘বাচ্চা বউ’ বলে ডাকতেন জিতু। তাঁর আর নবনীতার মধ্যেকার কেমিস্ট্রি মন জয় করে নিয়েছিল স্টার জলসার রিয়েলিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’তে।