মাধবী মুখোপাধ্যায়ের গালে চুমু খাচ্ছে ছোট্ট ফুটফুটে একটি ছেলে। অভিনেত্রীও মায়ের মতোই সেই ছেলেটির আদর খাচ্ছেন চোখ বন্ধ করে। সাদা-কালো এই ছবি বলে দিচ্ছে অতীতের বহু কথা। এই শিশুটিকে বর্তমানে সকলেই চেনেন। তিনি এখন টলিউড তথা বলিউডেরও হিরো বলা চলে। আর এই ছবিটি তাঁর প্রথম সিনেমার ছবি। নিশ্চয়ই বুঝতে পেরে গেছেন কার কথা বলা হচ্ছে। হ্যা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আসলে মাধবী মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রসেনজিৎ তাঁর ও মাধবী আন্টির ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় হওয়ার দৌলতে ছোট থেকেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ছোট্ট বুম্বার। আর তাই সেই সূত্রেই মাধবী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রসেনজিতের সম্পর্কও বেশ ঘরোয়া। প্রসেনজিৎ শিশুশিল্পী হিসাবেই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন। তাঁর প্রথম ছবি 'ছোট্ট জিজ্ঞাসা'-তেই প্রসেনজিৎ শিশু শিল্পী হিসাবে স্ক্রিনশেয়ার করেছিলেন তাঁর প্রিয় মাধবী আন্টির সঙ্গে। সেই ছবি শেয়ার করেই প্রসেনজিৎ শুভেচ্ছা জানান তাঁর প্রিয় মাধবী আন্টিকে। সেদিনের ছোট্ট বুম্বা আজকের প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
ছোট্ট জিজ্ঞাসা ছাড়াও প্রসেনজিৎ আরও কিছু ছবিতে শিশুশিল্পী হিসাবে কাজ করেছিলেন। এরপর বিমল রায়ের দুটি পাতা ছবির মাধ্যমে হিরো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন বুম্বাদা। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি অমর সঙ্গী তার সবথেকে হিট ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি প্রসেনজিৎকে। একের পর এক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন প্রসেনজিৎ। এমনকী যখন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির খারাপ অবস্থা তখন নিজের কাঁধে ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব তুলে নেন তিনি।
অভিনয়ের কথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। তাঁর অভিনয় বরাবর দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে প্রসেনজিৎ আজও বড় আদরের। তাঁরা এখনও প্রসেনজিৎকে স্নেহের চোখেই দেখেন। পুজোতেই মুক্তি পেয়েছে প্রসেনজিতের দশম অবতার। যেখানে ইনস্পেক্টর প্রবীর রায়চৌধুরীর ভূমিকায় প্রসেনজিতের অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছে।