পেল্লাই এক থালাতে বাসন্তী পোলাও, ফিশ ফ্রাই। থালার চারপাশে বাটি বাটি করে রাখা কাতলা মাছ, মাটন, পটলের দোরমা, পায়েস, মিষ্টি, কাস্টার্ড। আর এই খাবারগুলো কবজি ডুবিয়ে খেলেন তৃণমূলের বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। যাকে বলে অকাল জামাইষষ্ঠী। জামাই আদরই বটে আর সেই আদর কাঞ্চন পেলেন শ্রীময়ীর কাকা ও কাকিমার কাছ থেকে। সেই ছবি শেয়ার করতে ভুললেন না কাঞ্চন-পত্নী।
খেতে যে কতটা ভালোবাসেন কাঞ্চন, তা একাধিক সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী জানিয়েছেন। প্রায়ই শাশুড়ির কাছে এটা-সেটা খাওয়ার আবদার করে থাকেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। এই বছরের জামাই ষষ্ঠীতেও এলাহি আয়োজন করেছিলেন শ্রীময়ীর মা। মাছ-মাংস থেকে চিংড়ি-ইলিশ, জামাইয়ের পাতে সেরা খাবরটি দিতে কার্পণ্য করেননি। জুন মাসে জামাই ষষ্ঠী পালন হয়েছে কাঞ্চনের। কিন্তু পুজোর আগে আগে এরকম খাওয়া-দাওয়া, তা একপ্রকার জামাই ষষ্ঠীরও সমতুল্য। আসলে শ্রীময়ীর কাকা-কাকিমার বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছিলেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। আর সেখানেই এলাহি খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
শ্রীময়ীর শেয়ার করা ছবিতে দেখা গিয়েছে, বেগুনি রঙের টি-শার্ট পরে কাঞ্চন খেতে বসেছেন। সামনে সাজানো বাসন্তী পোলাও, ফিসফ্রাই, পটলের দোরমা, মাটন, পায়েস, চাটনি, কাতলা মাছ। আর সবটাই আদরের জামাইয়ের জন্য। শ্রীময়ী কাকা-কাকিমার সহ এই খাবারের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, জামাই আদর পেয়ে জামাই আহ্লাদে আটখানা। হ্যাঁ, জানি! খুব লোভনীয় তাও বলছি নজর দেবেন না প্লিজ। কাকা আর কাকিমা আদর করে তার মেয়ে ও জামাইকে ভূরিভোজ ও সাথে অনেক পুজোর উপহারে ভরিয়েছেন। তবে শ্রীময়ী ও কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁদের মেয়ে কৃষভিকে দেখা যায়নি।
কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বাড়িতে কবজি ডুবিয়ে খেতে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক কাঞ্চন মল্লিক। সেই সময় বিরিয়ানি থেকে চিকেন চাপ, লাউ চিংড়ি, পুরি, আলুর দম, চিকেন তন্দুরি সহ প্রচুর খাওয়া-দাওয়া হয়। কাঞ্চন এই বছরের জামাইষষ্ঠীতে নিজেই বলেছেন যে তিনবারের বিয়েতে এটাই তাঁর সেরা জামাইষষ্ঠী। তাঁকে এইভাবে গুছিয়ে কেউ কোনওদিন খাওয়ায় নি। সামনেই পুজো আর পুজোর সময়ও যে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর জমিয়ে ভূড়িভোজ হবে, তা বলাই বাহুল্য।