টলিপাড়ায় দারুণ জনপ্রিয় অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন তিনি। বড়পর্দা-ছোটপর্দা উভয় ক্ষেত্রেই দাপিয়ে অভিনয় করে চলেছেন অভিনেতা। তবে এবার তিনি যে কাণ্ডের কথা শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তা দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়। মিষ্টি রচনাকে ধরে রয়েছেন ভাস্বর। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি দিতেই শোরগোল।
না, এটা রক্তমাংসের রচনা অর্থাৎ সাংসদ রচনা নয়। এটা মিষ্টি রচনা। কালোজাম, দরবেশ, রসগোল্লা, গুজিয়া, পান্তুয়া এইসব মিষ্টির কথা তো অনেকেই শুনে থাকবেন। কিন্তু মিষ্টির নামও যে রচনা হয় তা ভাস্বর না জানালে তা অনেকেই হয়তো জানতেন না। আর এর পিছনে থাকা গল্পও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে ভুললেন না অভিনেতা। ভাস্বর জানিয়েছেন এই রচনা মিষ্টি তাঁর দেশের বাড়ির। সেখানে প্রতিবছরই দুর্গাপুজো হয়। আর সময় পেলে ভাস্বর নিজেও চলে যান।
কিন্তু এই বছর ভাস্বরের আর যাওয়া হয়নি দেশের বাড়ির পুজোতে। আর সেখানে যাননি বলেই দেশের বাড়ি থেকে বিশেষ মিষ্টি প্রসাদ এল অভিনেতার বাড়িতে। ভাস্বর জানিয়েছনে কাকা দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রিয় রচনাকে! এই রচনা তৈরি হয় শুকনো বোঁদে দিয়ে। পাওয়া যায় বাঁকুড়া ও সংলগ্ন অঞ্চলে। অভিনেতা তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন, অনেকেই হয়তো জানেন না সে কারণেই এই পোস্টটা করছি। বাড়ির পুজোয় যাওয়া হয়নি তাই আমার কাকা দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় মিষ্টি পাঠিয়ে দিয়েছেন। এই মিষ্টির নাম রচনা। শুকনো বোঁদে দিয়ে তৈরী,বাঁকুড়া ছাড়া অন্যত্র পাওয়া যায় বলে শুনিনি। আমাদের বাড়ির পুজোয় মায়ের ভোগে এটা লাগেই।” রচনা দেখতেও খাসা, ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেতা নিজেই। একবাক্যে সকলে বলছেন, “ধন্যবাদ ভাস্বর। আপনি আলাপ না করালে হয়ত সারাজীবনে এ রচনার হদিশই পেতাম না।
ভাস্বরের দেশের বাড়ির পুজোতে এই রচনা মিষ্টি দেওয়া একেবারেই মাস্ট। বাঁকুড়া ও তার সংলগ্ন এলাকাতেই এই মিষ্টি পাওয়া যায়। ভাস্বরের পোস্টে অবশ্য অনেকেই জানিয়েছেন যে সব বনেদি বাড়ির পুজোতেই এই মিষ্টি তৈরি করা হয়, তবে উপকরণ আলাদা হলেও নাম একই থাকে। আর এই পোস্টের মাধ্যমেই জানা গেল যে ভাস্বর আসলে বাঁকুড়ার মানুষ। বাড়িতে নিজের হাতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করেছেন ভাস্বর। প্রতিবছর তাই করেন। অভিনেতা ও তাঁর বাবা মিলে এই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেন।