সোমবার ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই চারহাত এক হয় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তীর। গত ২ বছর ধরে তাঁরা ডেট করলেও সেই খবর প্রকাশ্যে নিয়ে আসেননি। রবিবার রাতেই আচমকা জানা যায় যে পরমব্রত ও পিয়া বিয়ে করতে চলেছেন। যা শোনার পর টলিউডে শোরগেল পড়ে যায়। সোমবার দুপুরে পরমের যোধপুর পার্কের বাড়িতে পরিবারের সদস্য ও অল্প বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে ঘরোয়াভাবে আইনি বিয়ে সারেন পরম ও পিয়া। একবারে সাদামাটা সাজেই বিয়ের অনুষ্ঠানে ধরা দেন পরমব্রত ও পিয়া। তবে সোমবার রাতে ভবানীপুরে আয়োজন করা হয়েছিল নৈশভোজের। সেখানে টলিউডের খুব বেশি তারকাদের যদিও দেখা যায়নি।
ভবানীপুর হাউসে বসেছিল পরম-পিয়া বিয়ের নৈশপার্টি। সেখানেও আমন্ত্রিতের সংখ্যা হাতেগোনা। রাতের ঘরোয়া পার্টিতে পরমব্রতকে দেখা গিয়েছিল সাদা রঙের পাঞ্জাবী, ধুতি ও তার ওপর নীল বুটির জহর কোর্ট। অপরদিকে পিয়া পরেছিলেন আসমানি নীল রঙের শাড়ি সাবেকী স্টাইলে, চুল বাঁধা ছিল, সোনার গয়না আর একেবারে নামমাত্র মেকআপ। দুজনে একসঙ্গে ছবিও তোলেন।
বিয়ের মতো পরমব্রতর বিয়ের পার্টিতেও ব্রাত্য টলিউড। তবে হাজির ছিলেন নায়কের বিজনেস পার্টনার প্রযোজক-পরিচালক অরিত্র সেন এবং পিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় ও অনুষা বিশ্বনাথন। বিয়ের পর রিসেপশ পার্টিতে যাওয়ার আগে পরমব্রত জানিয়ে যান যে বেশি বয়সে বিয়ে করলে যেমন লাগে ঠিক তাঁরও তেমন লাগছে। এরপর যোগ করেন, ‘বিয়েটা প্রথম থেকেই খুব প্রাইভেট রাখতে চেয়েছি। একেবারে ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে। যে ফর্মালিটিগুলো থাকে আর কী, রীতি মেনে কিছু হয়নি। এখন এক বন্ধুর বাড়িতে ইনভাইট করেছে, সেখানে যাচ্ছি। দেখি পরে বড় করে কিছু করার ইচ্ছে রয়েছে’।
সোমবার সকাল থেকেই পরমব্রত ও পিয়ার বিয়ে নিয়ে কৌতুহল ছিল তুঙ্গে। আইনি বিয়ে মিটতেই পরমব্রত সন্ধ্যেবেলাতেই বিয়ের ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশানে টিএস ইলিয়টের কবিতা ধার করে লেখেন, ‘আকাশের বুকে যখন সন্ধে নামে তখনই আমাদের পথচলা শুরু হোক’। পরমব্রত-পিয়ার এই বিয়েতে ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমন্ত্রিত না থাকলেও অনেকেই নব-দম্পতিকে তাঁদের পথ চলায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।