
প্রেমের মাসেই সুখবর দিয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী। তাঁদের জীবনে আসতে চলেছে নতুন অতিথি। বিয়ের দু বছর পর মা-বাবা হতে চলেছেন পরম-পিয়া। নিজেদের আদুরে ছবি পোস্ট করে এই কথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করেন তাঁরা। এখন পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বা পিয়া। আর এরই মাঝে দেখা গেল তাঁর ছোট্ট বেবিবাম্প। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আইনিভাবে বিয়ে সারেন পিয়া ও পরমব্রত।
পেশায় সমাজসেবী পিয়া কাজ করেন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। রত্নাবলী রায়ের অঞ্জলি মেন্টাল হেলথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন পিয়া। বহু বছর ধরেই পরম-পত্নী এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। রত্নাবলী রায়ের সঙ্গে পিয়ার সম্পর্ক একেবারে মায়ের মতোই। এখনও কাজ করে যাচ্ছেন পিয়া। আর সেখানেই পিয়ার বেবিবাম্পে কান দিয়ে একরত্তির উপস্থিতি টের পাওয়ার চেষ্টা করছেন রত্নাবলি। আর এই ছবিতেই দেখা গেল পিয়ার ছোট্ট বেবিবাম্প।
নীল রঙের লং গাউন পরে রয়েছেন পিয়া। চোখে চশমা, ঠোঁটে চেনা হাসি আর খোলা চুল। পিয়ার বেবিবাম্পে হাত দিয়ে রত্নাবলী আসন্ন সন্তানের উপস্থিতি টের পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই ছবি পোস্ট করে পিয়া লেখেন, হবু দিদা। প্রসঙ্গত, সংসার বড় হচ্ছে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। দু'বছর আগে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন। ২০২৫ সালে বাবা হচ্ছেন তিনি। এ বছরই সন্তান আসতে চলেছে পরম-পিয়ার ঘরে।
২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর পরমব্রত এবং পিয়া বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের নিয়ে একেবারে ছিমছাম অনুষ্ঠানে চারহাত এক হয় তাঁদের। দু'বছরের মাথায় সুখবর শোনালেন তারকা দম্পতি। এর আগে পিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গায়ক অনুপম রায়ের। কিন্তু তাঁদের কোনও সন্তান নেই। দাম্পত্য জীবনে প্রবেশের আগে পরমব্রত এবং পিয়া বন্ধু ছিলেন বলে জানা যায়। জানা যায়, কয়েক বছর আগে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত সুন্দরবনে ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলেন পরমব্রত। পিয়াও সেই সময় সুন্দরবনে ছিলেন। সেখান থেকেই পরস্পরের বন্ধু হয়ে ওঠেন তাঁরা। সেই বন্ধুত্ব পরবর্তীতে সম্পর্কের রূপ নেয় এবং সেখান থেকে বিয়ে।
বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন পরমব্রত ও পিয়া। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করে চুটিয়ে সংসার করছেন তাঁরা। তাঁদের জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে গান। প্রায়শই গিটার হাতে পরমব্রত এবং তাঁর পাশে পিয়াকে দেখা যায়। এবার তাঁদের জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুনেই পরম-পিয়ার সন্তান আসবে পৃথিবীতে।