বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে থাকা অভিনেতাদের মধ্যে একজন হলেন প্রসনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রসেনজিৎ তাঁর ফিটনেস নিয়ে খুবই সচেতন। বয়স ৬০ হলেও অভিনেতাকে দেখলে বোঝার উপায় নেই। নিজের যৌবনকে ধরে রেখেছেন এক অজানা কৌশলে।
প্রসেনজিৎ বরাবরই তাঁর ডায়েট নিয়ে ভীষণভাবে সাবধানী। শরীর এমনভাবে ধরে রেখেছেন যে তিনি যে কোনও বয়সের অভিনেতাকে কড়া টক্করে ফেলতে পারেন। যদিও অভিনেতা খেতে বড়ই ভালোবাসেন। যদিও এখন ফিটনেসের জন্য সব প্রিয় খাবারকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন তাঁর খাবার তালিকা থেকে। সামান্য খিদে পেলেই প্রসেনজিৎ কফি ও বিস্কুটেই ইতি সারেন। প্রসেনজিতের মতো ফিট থাকতে সকলেই চান।
প্রসেনজিতের প্রিয় খাবারের তালিকা বেশ দীর্ঘ। তবে ইলিশ ও চিংড়ি মাছের মধ্যে প্রসেনজিতের প্রিয় ইলিশ মাছ। এই মাছের যে কোনও পদ সামনে আসলে লোভ সামলাতে পারেন না অভিনেতা। বিরিয়ানি ও মাটন কষার মধ্যে অভিনেতা অবশ্যই আর দশটা বাঙালির মতোই মাটন খেতেই বেশি পছন্দ করেন। রসগোল্লা খেতে পছন্দ করলেও সেটা একটু অন্যভাবে খেতে পছন্দ করেন অভিনেতা। লুচির মধ্যে রসগোল্লা দিয়ে খেতে পছন্দ করেন প্রসেনজিৎ। তবে ভাত খাওয়া অনেকদিন আগেই ছেড়ে দিয়েছেন অভিনেতা।
শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকার সময় তিনি ডাবের জল, ব্ল্যাক কফি ও টক দই খান। এছাড়া শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করেন নিয়মিত, যার ফলে কোনও মেদ নেই তার শরীরে তাই ৬০ বছর বয়সেও তাকে ৩০ বছরের দেখতে লাগে। প্রসেনজিৎ কোনও ধরনের জাঙ্ক ফুড ও মিষ্টি খুব একটা খান না। তবে যেটাই খেয়ে থাকেন খুব মেপে, পরিমাণ বুঝে খান। এর জন্যই প্রসেনজিৎ এত ফিট থাকতে পারেন।
যদিও মাঝে মাঝ চিট ডায়েট করে থাকেন প্রসেনজিৎ। যেমন গতবছর ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে বোন ফোঁটা দেওয়ার পর পায়েস ছাড়া কোনও খাবারই খাননি তিনি। কিন্তু মাঝে মাঝে নিজের ইচ্ছা মত খাবার খুব কম পরিমাণে খান তিনি। পাশাপাশি চলে কঠোর ওয়ার্ক আউট।