বাংলাদেশের ওয়েব সিরিজে কাজ করার কথা ছিল টোটা রায়চৌধুরী। সব কথাবার্তাও একেবারে পাকা। কিন্তু হঠাৎ করেই প্ল্যান বদল। টোটার জায়গায় সেই ওয়েব সিরিজে অভিনয় করবেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, কারাগার খ্যাত পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকীর 'গুলমোহর' সিরিজেই কাজ করার কথা ছিল টোটার কিন্তু তাঁর বদলে এলেন শাশ্বত। কিন্তু কী কারণে এই অভিনেতা বদল?
টোটা এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, সিরিজের চিত্রনাট্য ও চরিত্র দুই-ই তাঁর পছন্দ ছিল। অপেক্ষা ছিল চুক্তিপত্রের সইয়ের। কিন্তু তাঁর আগেই অভিনেতা জানতে পারেন, এই চরিত্র বাবদ পাওয়া পারিশ্রমিকের ৩০ শতাংশ তাঁকে বাংলাদেশের সরকারকে কর হিসেবে দিতে হবে। আর এখানেই টোটার আপত্তি ছিল। টোটার মতে, তিনি শুধুমাত্র ফেলুদা চরিত্রের জন্য নিজের পারিশ্রমিক কমাতে পারেন। আর কোনও চরিত্রের জন্য নয়। নতুন চরিত্রের জন্য প্রাপ্ত টাকার ৩০ শতাংশ যদি বাংলাদেশ সরকারকে কর হিসেবে দিয়ে দিতে হয় তাহলে তো ‘গুলমোহর’ সিরিজের পারিশ্রমিক ‘ফেলুদা’ থেকেও কম হয়ে যাবে। এই আপস তিনি করতে পারবেন না।
টোটা এও জানিয়েছেন প্রযোজনা সংস্থা নাকি পরামর্শ দিয়েছিলেন তিরিশ শতাংশ বাড়তি অর্থ তাদের পক্ষ থেকে অভিনেতাকে দেওয়া হবে। তারপর সেই টাকা কেটে নেওয়া হবে। যদিও অভিনেতা জানিয়েছিলেন যে ফেলুদা করতে তিনি যে পারিশ্রমিক নেন তার চেয়ে এক টাকা হলেও বেশি দিতে হবে তাঁকে। তিরিশ শতাংশ কেটে নিলে তার থেকে কম হয়ে যাচ্ছে। এর জেরেই নাকি তিনি ওয়েব সিরিজ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
এরপরই গুলমোহর সিরিজের জন্য শাশ্বতকে বেছে নেওয়া হয়। পরিচালক শাওকীর সঙ্গে কাজ করতে না পারার আফসোস যেমন রয়েছে তেমনই শাশ্বতকে এই কাজের জন্য অভিনন্দনও তিনি জানিয়েছেন। তাঁর বিশ্বাস, শাশ্বতর চেয়ে ভালো এই চরিত্র আর কেউ করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’তে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রথমে শাশ্বতকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নাচের দৃশ্যের কারণে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। তার পরে চরিত্রটি যায় টোটার কাছে। এবার যেন সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল।