কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যের বাড়িতে এলাহি আয়োজন। প্রতি বছরই অপরাজিতা তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করে থাকেন। তিনি ও তাঁর শাশুড়ি মিলে পুজোর সব কাজ সামলান। পুজোর কাজ থেকে শুরু করে ভোগের আয়োজন সবটাই অপরাজিতা করেন একা হাতে। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিনই অপরাজিতা তাঁর বাড়ির লক্ষ্মীকে নিজের হাতে সাজান। এ বছরও তাঁর ব্যতিক্রম হল না।
এই বছর অপরাজিতার বাড়ির লক্ষ্মী সাজছেন রাধারূপে। গোলাপি রঙের ঘাগরায় সেজেছেন অভিনেত্রীর বাড়ির লক্ষ্মী। সেই ভিডিও শেয়ার করে অপরাজিতা বলেন যে তিনি মায়ের পোশাক কিনতে গড়িয়াহাট গিয়েছিলেন। কিন্তু যে দোকান থেকে তিনি মা লক্ষ্মীর সাজ পোশাক কেনেন, সেখানে গিয়ে জানতে পারেন যে অতিবৃষ্টিতে সেই দোকানের সবকিছু নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাও অভিনেত্রীর অনুরোধে দোকানি বেশ কিছু পোশাক দেখান। আর সেখান থেকেই অপরাজিতার এই গোলাপি রঙের ঘাগরাটি পছন্দ হয়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অভিনেত্রী নিজের হাতে সাজাচ্ছেন লক্ষ্মীদেবীকে। প্রতি বছরই অপরাজিতা পুজোর আগের দিনই লক্ষ্মীদেবীকে সাজান।
রাত আড়াইটে পর্যন্ত জেগে অভিনেত্রী তাঁর বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমাকে সাজান। অপরাজিতার বাড়ির লক্ষ্মীপুজো ঘিরে ইন্ডাস্ট্রির ইন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। অনেকেই তাঁর বাড়ির পুজোতে আসেন ভোগ খেতে। এ বছরও অভিনেত্রী ও তাঁর শাশুড়ি মিলে লক্ষ্মীর ভোগ ও নানান ধরনের মিষ্টি-নাড়ু তৈরি করেছেন। তবে প্রতি বছর যেটা সকলের চোখ টানে তা হল অপরাজিতার সাজ। চওড়া লাল পেড়ে সাদা শাড়ি, নাকে বড় নথ ও কপালে বড় সিঁদুরের টিপ, তাঁকে মা লক্ষ্মীর চেয়ে কম কিছু লাগে না। সংসারের যাবতীয় কাজ, পুজোর কাজ সামলে অভিনেত্রী তাঁর নাচের স্কুল ও অভিনয়ের কাজও সামলান সমানভাবে।
জানা গিয়েছে এই বছর অপরাজিতার বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর ভোগে থাকছে খিচুড়ি, ফ্রায়েড রাইস, পোলাও, ভাজা, রকমারি তরকারি, চাটনি, মিষ্টি ও পায়েস। আমন্ত্রিতদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। পুজোর তোড়জোড় অনেক আগে থেকেই শুরু করে দেন অপরাজিতা। এত দিন শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে উপবাস করে পুজোর সমস্ত কাজ করতেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আর নির্জলা উপবাস করেন না। ফল, ছাতুর শরবত খেয়ে পুজোর কাজ করেন।