টলিপাড়ায় অপরাজিতা আঢ্য একটি পরিচিত নাম। তাঁর অভিনয় বরাবর মুগ্ধ করেছে আপামর দর্শককে। সব সময় হাসিমুখে থাকতেই ভালোবাসেন অভিনেত্রী। অভিনয়, সংসার, নাচের স্কুল আর তাঁর আধ্যাত্মিক জগত, এই নিয়েই দিব্যি ভাল আছেন অপরাজিতা। ৯ অগাস্ট রাখির দিন নবান্ন অভিযানের কারণে বাপের বাড়ি গিয়ে দাদাকে রাখি পরাতে পারেননি। তবে হাল ছাড়েননি অভিনেত্রী, ওইদিন রাতে ফের হাওড়ার কদমতলায় বাপের বাড়ি যান অভিনেত্রী। আর সেখানে গিয়েই সবাইকে মাতিয়ে রাখলেন তিনি। শুধু কী তাই, তিন প্রজন্মের বেলন চাকিতে লুচি বেললেন অপরাজিতা।
পরনে নীল রঙের শাড়ি, আঁচল কোমরে গোঁজা, স্লিভলেস ব্লাউজ, কপালে বড় নীল টিপ। একেবারে পাকা গিন্নিদের মতোই ধরা দিলেন অপরাজিতা। দক্ষ হাতে লুচি বেলতে দেখা গেল তাঁকে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। সঙ্গে রয়েছে তাঁর বান্ধবী ও দাদার স্ত্রী। বাড়িতে অপরাজিতা একেবারেই বাড়ির মেয়ে, কোনও তারকাসুলভ আচরণ তাঁর মধ্যে দেখা যায় না।
অপরাজিতা তাঁর শেয়ার করা ভিডিওতে জানিয়েছেন যে নবান্ন অভিযানের কারণে রাখি পূর্ণিমার সকালে তিনি বাপের বাড়িতে আসতে পারেননি। তবে রাতে চলে এসেছেন। আর এসেই ঢুকে পড়েছেন রান্নাঘরে লুচি তৈরি করতে। অভিনেত্রী বলেন, আমরা এখন লুচি ভাজা এবং বেলা, কম্পিটিশনে আছি। লুচি খেয়ে আবার দৌড় দিতে হবে কালকে সকালে শ্যুটিং আছে। এরপরই অপরাজিতা যে বেলন চাকিতে লুচি বেলছিলেন তার ইতিহাস জানালেন। তিনি বলেন, আমার জন্ম থেকেই দেখছি এই বেলন চাকিটা ব্যবহার হচ্ছে। এটাতে আমার দিদা বেলতেন, আমার মা বেলতেন, এখন আমার বৌদি আর আমি বেলছি। আমার বৌদিকে বললাম তুমি এই বেলন চাকিটা চেঞ্জ করবে না? বৌদি বলল 'না'। আমার যত বড় বয়স। তত বছর এই বেলনচাকির বয়স। আরও বেশিই হবে।
এই ভিডিও শেয়ার করে অপরাজিতা ক্যাপশনে লেখেন, শৈশবের সেই দিনগুলো...যখন সুখ মানে ছিল মাটির গন্ধ, কাঁচা আমের টক, বৃষ্টিতে ভিজে হাসি আর খেলাঘরের উচ্ছ্বাস। টলিপাড়ায় নিজের হাসিখুশি স্বভাবের জন্য ভীষণভাবে জনপ্রিয় অপরাজিতা। তবে স্পষ্টবাদী। যে কোনও ঘটনায় প্রতিবাদ করতে ভোলেন না। নিজের শর্তে বাঁচেন, মজা করে, হই হুল্লোড় করে, সবাইকে নিয়ে।