অগাস্টের ৯ তারিখে আরজি করে কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য। এই ঘটনার আগুন ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য রাজ্য সহ বিদেশেও। সেই ঘটনার একমাস পূর্তি হল সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর। আর এদিনই ছিল সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর ঘটনার শুনানি। সকলের একটাই দাবি শাস্তি পাক অপরাধীরা। আর সেই কারণেই আম জনতার পাশাপাশি টলিউড তারকারাও সামিল হয়েছেন প্রতিবাদে। যাঁদের মধ্যে অন্যতম অপরাজিতা আঢ্য। তিনিও সোচ্চার হয়েছেন এই ঘটনায়। আর এরই মাঝে আসছে পুজো। তবুও এই উৎসব নিয়ে সেভাবে কারোরই মাথা ব্যথা নেই। অপরাজিতাও একরাশ অভিমান জানালেন মা দুর্গার কাছে।
অপরাজিতা তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, আজ সুপ্রিম কোর্ট-এর শুনানির পর আমার সমস্ত আশাকে হতাশা ধর্ষণ করে চলে গেছে। আমার আশাও তিলোত্তমার মতো বিচার চায়। সুবিচার না হলে কিভাবে উৎসবে ফিরব সেতো নিজের অনুভূতির সঙ্গে মিথ্যাচার হবে। প্রত্যেক বছর তৃতীয়া থেকে নবমী পর্যন্ত কাজ করি দশমীতে মাকে বরণ করি, বিসর্জনে নাচি, সকলকে মিষ্টি খাওয়াই। সুবিচার দাও মা না হলে এবছর প্যান্ডেলে গিয়ে যে তোমায় বরণ করতে পারব না।
প্রতিবছর বাঙালিরা এই দুর্গোৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। অপরাজিতা আঢ্য পুজোর চারটে দিনই পাড়ার মণ্ডপে তাঁকে দেখা যায়। ঢাক বাজানো থেকে শুরু করে নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়া নিয়েই মেতে থাকতেন তিনি। তবে এই বছরের পুজোর আবহ একেবারেই অন্যরকম। চারিদিকেই আন্দোলন-মিছিল নির্যাতিতার জন্য। কেউই এই আনন্দ উৎসবে গা ভাসাতে রাজি নন। তাই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে উৎসবে নেই। অপরাজিতা তাঁর এই পোস্টে তিনি এই লড়াইয়ের ময়দানে থাকা তিলোত্তমাদের জিতিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বারবার। একইসঙ্গে তিনি ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরার বার্তাও দিয়েছেন। ‘সব তিলোত্তমাকে কালী হওয়ার শক্তি দাও। সবার হাতে খর্গ থাক।’
সোজা সাপ্টা কথা বলতে কোনওদিনই পিছুপা হননি অপরাজিতা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি সক্রিয় থাকেন। কিছুদিন আগেই নিজের দাদার বিয়ে দিয়েছেন ধুমধাম করে। পাত্রী তাঁর মায়ের পছন্দ করা। অপরাজিতার বাড়িতে ঘটা করে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে। তবে বিচার না পেলে এই বছর লক্ষ্মীপুজো কতটা জাঁকজমকের সঙ্গে হবে সেটা সময়ই বলবে।