কালো ঝিকমিকে গাউন, হাতে পুরনো আমলের হ্যারিকেন, গোটা ঘর জুড়ে নীলচে আভা। এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের সামনে ধরা দিলেন অপরাজিতা আঢ্য। এতদিন যে সুন্দর লক্ষ্মীমন্ত রূপে অভিনেত্রীকে দেখা যেত সেই অবতারকে ভেঙে একেবারে অন্যরকম ভাবে ধরা দিলেন অপরাজিতা। জানালেন এটা তাঁর হ্যালোইন লুকস। নিজের এই লুকসের ছোট ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পাশাপাশি অপরাজিতা জানিয়ে দিলেন যে তিনি এই দিনটা খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করেন।
অপরাজিতা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে হ্যালোইনের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। কেন পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে এই উৎসবকে সেলিব্রেট করা হয়। তার সঙ্গে অপরাজিতা এও বলেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই উৎসবকে খুব ভালোবাসেন। মনের সুখে রঙবেরঙের মিষ্টি, ট্রিট, চকোলেট, টফি, মাফিন, ম্যুজ খাওয়া যায়। এগুলো দেখলেই অভিনেত্রীর জিভে জল আসে। শেষে অপরাজিতা সংযোজন করে বলেন, অর্থাৎ, যা বোঝা গেল সবটা জুড়েই খাওয়াদাওয়া, খুশি উদযাপন আর মঙ্গলকামনার উৎসব। ভীতি যদি মনকে চেপে বসে তবে তাকেও উপভোগ করে ‘থোরাই কেয়ার!’ বলার মধ্যে যে মজা আছে সেটা যে সব সভ্যতার ক্ষেত্রেই সত্যি, এই দুই উৎসব যেন সেই সত্যিই বলে যায় সহজ করে।
উৎসব-অনুষ্ঠানে হই-হুল্লোড় করতে ভীষণ ভালোবাসেন অপরাজিতা। দুর্গাপুজোয় ঢাক বাজানো থেকে, ভাসানে নাচ আবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় একা হাতে পুজোর আয়োজন, সবটাই করতে দেখা যায় অপরাজিতাকে। যদিও এই বছর আরজি কর-কাণ্ডের আবহে অপরাজিতাকে সেভাবে কোনও উৎসবে অংশ নিতে দেখা যায়নি। বাড়ির লক্ষ্মীপুজো করেছেন খুবই সাদামাটাভাবে। তবে ধনতেরসে মা লক্ষ্মী ও কুবের দেবের আরাধনা করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে।
সিরিয়াল থেকে বড়পর্দা সবেতেই অপরাজিতার অভিনয় মানুষের মন জয় করেছে। লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারের পর অপরাজিতাকে দেখা গিয়েছিল জল থই থই ভালোবাসা সিরিয়ালে। এরপর তাঁকে আর ছোটপর্দায় দেখা যায় নি। তবে শীঘ্রই অপরাজিতাকে ফের দে