
বছরভর যতই শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততা থাক না কেন, বাড়ির পুজো মিস হয় না কোনওদিনই অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের। কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে মল্লিক বাড়ির পুজো অন্যতম। গত বছরই এই পুজোর ১০০ বছরে পা দিল। এই পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick) ও কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)। এই পুজো যে তাঁদেরই ভবানীপুরের আদি বাড়ির, সেটা সর্বজনবিদিত। বাড়ির পুজো নিয়ে কোয়েল বরাবরই খুব উৎসাহিত। ঠাকুর আনা থেকে বিসর্জন সবদিনই বাড়ির পুজোতে অংশ নেন তিনি। এই কদিন সব কাজ তোলা থাকে শিকেয়। গত বছর ডিসেম্বরেই মা হয়েছেন কোয়েল। ৪২ বছরে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নিসপাস-ঘরণী। আর মেয়ে কাব্যর এটা প্রথম দুর্গাপুজো। ছেলে-মেয়ের জন্য এখন থেকেই অভিনেত্রীর শপিং শুরু।
সব মায়েরাই চান তাঁদের একরত্তি মেয়েকে পুজোতে মনের মতো করে সাজগোজ করাতে। সেই তালিকায় রয়েছেন কোয়েলও। সেপ্টেম্বরে ৯ মাসের হবে কাব্য, হয়তো সেভাবে কিছুই বুঝতে পারবে না। তাও মা কোয়েল চান তাঁর মেয়ে যেন পুজোতে সুন্দর করে সাজে। এক সংবাদমাধ্যমের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এসে কোয়েল বলেন, কাব্যর এটা প্রথম পুজো। ওর ফ্রক আর ঘাঘরা বানাতে আমি ব্যস্ত আছি। আর কবীরের যে রকম কুর্তা পাজামা হয় সেটা এরপর হবে। এখন কাব্যর পোশাক দিয়ে শুরু হল।
কোয়েল এও বলেন, কাব্যর পর কবীরের পালা, আসলে কবীরের পোশাকের বিষয়ে অনেক মতামত আছে। ভীষণই খুঁতখুঁতে। এই বয়সেই এতটা খুঁতখুঁতে, জানি না এরপর কী হবে। মাথাটাই খারাপ করে দেবে। দু’জনকে নিয়ে মনে হয় এবারের পুজো খুব বিশেষ হতে চলেছে। এই বছরও বাড়ির পুজোতেই থাকবেন কোয়েল। অন্য কোথাও প্ল্যান তিনি রাখেন না। অভিনেত্রী বলেন, এই সময় বিদেশ থেকে আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন আসেন এই পুজোর ৫টা দিন কাটানোর জন্য। তাই আমি বাড়ির পুজো ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই মল্লিক বাড়িতে গেলে দেখা মিলবে রঞ্জিত মল্লিক ও কোয়েলের। অভিনেত্রী একেবারে ঘরের মেয়ের মতোই পুজোর সব কাজে অংশ নেন। ঘণ্টা বাজানো, পুজোর জোগাড় করা, ভোগ দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মন খুলে আড্ডা মারা সবটাই করতে দেখা যায় কোয়েলকে। সঙ্গে থাকেন স্বামী নিসপাল সিং ও ছেলে কবীর। এই বছর অবশ্য বাড়তি পাওনা হিসাবে ছেলে কবীরের সঙ্গে পুজোতে কোয়েলের সঙ্গে থাকবে কাব্য।