স্বামীর সঙ্গে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরের কিছু অব্যবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন তিনি। তাঁর ৬ বছরের মেয়ের স্টলারের জন্য বিমানবন্দরে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন কনীনিকা। এই নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও পোস্টও করেছেন।
কনীনিকা তাঁর ভিডিওতে বলেন যে তিনি ভেবেছিলেন এই ভিডিওটি তিনি করবেন না, কারণ প্রত্যেকবারই তিনি এই ঘটনার মুখোমুখি তিনি হন এবং তিনি প্রতিবারই মুখ বন্ধ করে নেন কারণ সবাই বলে তিনি বেশ প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। কনীনিকা জানিয়েছেন, তাঁর স্পাইন সার্জারি হয়েছে তাই তিনি তাঁর কন্যাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্টলার চান। কারণ অভিনেত্রীর কথায় এই স্টলার ফ্যাশনের জন্য নয়। এরপর অভিনেত্রী বলেন, বিগত ৬টা বছর ধরে আমি কলকাতা এয়ারপোর্টে আমি আমার বাচ্চার জন্য স্টলার পাই না। এবং প্রত্যেক মুহূর্তে আমায় লড়তে হয়। তারপরও পাওয়া যায় না, তারপরও আমি এখানে বসে থাকি।
কনী বলেন যে সারারাত সফর করার পরও তাঁকে এভাবে বসে থাকতে হয়। তিনি ওয়াশরুমেও যেতে পারেন না। অভিনেত্রী জানান যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো রাতের দিকে হয়। তিনি এদিনও বিমানবন্দর থেকে নেমে বিমান কর্মীদের থেকে স্টলার চাইলে তাঁরা বলেন যে ডমেস্টিক ফ্লাইটে এই পরিষেবা পাওয়া যায়, আন্তর্জাতিকে নয়। এর পাশাপাশি কনীনিকা ব্যাঙ্কক বিমানবন্দরের সুন্দর পরিকাঠামোর কথাও তুলে ধরেন। যেখানে তিনি তাঁর মেয়ে ও বয়স্ক বাবা-কাকাদের নিয়ে ফ্লাইটে জার্নি করছিলেন, আর সেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁর মেয়েকে স্টলার থেকে নামতেও দেয়নি। কনীনিকা এও জানান যে ব্যাঙ্কক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বোঝে যে একটা মায়ের জন্য সন্তানকে একা বহন করে সফর করা কতটা কঠিন কাজ।
কনীনিকার কথায় কাস্টমস চেকিংয়ের কারণে স্টলার দেওয়া যাবে না বলেই জানিয়েছে তারা। এই সমস্যা একমাত্র কলকাতা বিমানবন্দরেই হয়, অন্য বিমানবন্দরে তা হয় না বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কনীনিকা বলেন যে গত ৬ বছর ধরে তিনি একই সমস্যার সম্মুখীন। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট হলে তা অভিনেত্রীর কাছে বিভীষিকা। অভিনেত্রীর কথায়, রাতের বেলা ফ্লাইট এলে কোনও সহায়ক কর্মী থাকেন না। শেষে কনীনিকা সকলের কাছেই এই সমস্যার সমাধান চেয়েছেন। যদিও তাঁর মেয়ের বয়স ৬, কিন্তু একজন মা হিসাবে একটু ভাল করে হেঁটে যাওয়ার জন্য এই স্টলার সব মায়েদের জন্য খুবই দরকারি, বলেই মনে করেন কনীনিকা।