Mimi Chakraborty: 'আমরা তোমাদের যোগ্য নই', সুপ্রিম রায়ের পর পথকুকুরদের নিয়ে কী লিখলেন মিমি?

Mimi Chakraborty: সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি ও এনসিআর এলাকা থেকে পথকুকুরদের সরিয়ে ফেলতে হবে। তাদের রাখতে হবে ডগ শেল্টারগুলিতে। আর এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশের সব পশুপ্রেমীরা। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে বলিউডের তারকাদের পাশাপাশি সরব হতে দেখা গিয়েছে টলিউডের তারকাদেরও।

Advertisement
'আমরা তোমাদের যোগ্য নই', সুপ্রিম রায়ের পর পথকুকুরদের নিয়ে কী লিখলেন মিমি?মিমি চক্রবর্তী
হাইলাইটস
  • মিমি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছোট ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছে পথকুকুরদের সঙ্গে সময় কাটাতে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি ও এনসিআর এলাকা থেকে পথকুকুরদের সরিয়ে ফেলতে হবে। তাদের রাখতে হবে ডগ শেল্টারগুলিতে। আর এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশের সব পশুপ্রেমীরা। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে বলিউডের তারকাদের পাশাপাশি সরব হতে দেখা গিয়েছে টলিউডের তারকাদেরও। ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, তথাগতরা। এঁরা প্রত্যেকেই পশুপ্রেমী। টলিপাড়ার মিমি চক্রবর্তীও সেই তালিকায় রয়েছেন। তাঁর বাড়িতে রয়েছে তিনটে কুকুর, যার মধ্যে একটি দেশি কুকুর। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নিয়ে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন প্রাক্তন সাংসদ ও অভিনেত্রী। 

মিমি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছোট ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছে পথকুকুরদের সঙ্গে সময় কাটাতে। শ্যুটিং থেকে শুরু করে নায়িকার ভ্যাকেশন, সব জায়গাতেই মিমি রাস্তার এই কুকুরদের নিয়ে সময় কাটিয়েছেন। কখনও তাদের সঙ্গে খেলছেন আবার কখনও বা আদর করছেন আবার কখনও বা তাদের বিস্কুট খাওয়াচ্ছেন। এই ভিডিও পোস্ট করে মিমি তাঁর ক্যাপশনের মাধ্যমে জানিয়েছেন ছোটবেলা থেকে এই অবলা প্রাণীগুলোর সঙ্গে তাঁর কেমন সম্পর্ক। নায়িকা লেখেন, আমার মা আমায় বলেছিল আমি খুব সম্ভবত ৮ বছরের হব, তখন থেকেই আমার স্কুল বাস পর্যন্ত আমার সঙ্গে যেত রাস্তার কুকুরগুলো আর আমার দায়িত্ব ছিল তাদের এক জার বিস্কুট খাওয়ানো, যেটা আমি স্কুল যাওয়া আগে মামা দোকান থেকে নিয়ে আসত। এটা করানো হত এই কারণে আমি চারপাশে কী দেখছি আর তার থেকে কী শিখছি। 

মিমি এও বলেন, আমার স্কুলও আমায় শিখিয়েছে কুকুরেরা আমাদের প্রিয় বন্ধু। কালু, লালু সহ অনেকেই অপেক্ষা করত আমার জন্য, আমার সঙ্গে বাড়ি পর্যন্ত যেত তারা। আমাদের কলোনির অধিকাংশ বাসিন্দারাই তাদের খাওয়াতো। বুড়ি মাসি (আমাদের এক প্রতিবেশী) কুকুর ও বিড়ালদের জন্য শেল্টার ও হাসপাতাল তৈরি করে ফেলে নিজের বাড়িটাকে। কনকনে ঠান্ডার সময়ে এদের বাড়ি নিয়ে এসে আশ্রয় ও কম্বল চাপা দিয়ে রাখত। আর এটা এখনও হচ্ছে। নায়িকা আরও বলেন, জলপাইগুড়িতে আমার মা কিছু পথকুকুরের নামকরণ করেন এবং তিনি তাদের নিয়মিত খাওয়ান। আর তার পরিবর্তে আমার মা যখন বাড়িতে থাকে না তখন বাড়ি পাহারা দেয় তারা। 

Advertisement

মিমি জানিয়েছেন, তাঁর দিদি এই মুহূর্তে দিল্লির রাস্তায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করছেন। নায়িকা জানিয়েছেন, কোনও কুকুরকে দত্তক নেওয়ার জন্য কোনও আইন আটকাতে পারে না। এটা আসলে একটা হত্যালীলা। শেষে মিমি লেখেন, এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এটা দেখার জন্য যে অস্বাস্থ্যকর পুকুরে কীভাবে ধীরে ধীরে কুকুরগুলো মারা পড়ছে। অভিনেত্রীর বাড়িতে ৩টে পোষ্য রয়েছে, যার মধ্যে একটি দেশি।     

POST A COMMENT
Advertisement