মন খারাপ থেকে শুরু করে আনন্দের মুহূর্ত হোক বা উৎসবের দিন, সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর সময় কাটে তাদের নিয়েই। মিমি পার্টি-ক্লাব কিছুই করেন না। শ্যুটিং থেকে সময় পেলেই মিমি বাকি সময়টা দেন তাঁর পোষ্যদের। কিন্তু ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মিমির দীর্ঘদিনের সঙ্গী চিকু ক্যান্সারে মারা যায়। সেই সময় খুবই ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কথা তিনি জানিয়েও ছিলেন। ১৪ নভেম্বর চিলড্রেনস ডে-এর দিন সেই চিকুর জন্মদিন ছিল। আর ছেলের জন্মদিন পালন করবেন না মিমি তা কী করে হয়।
মিমি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে চিকুর বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। একটা ছবিতে দেখা গিয়েছে চিকুর জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। সামনে কেক রাখা, চিকুর মাথায় বার্থডে চুপি। এই ছবিতে মিমি লেখেন, শুভ জন্মদিন আমার রোদের মতো উজ্জ্বল ছেলে। তুমি যেখানেই থাক না কেন তোমার মা তোমাকে মিস করছে খুব। আর একটি ছবিতে চিকুর ছবির সামনে বসে রয়েছেন মিমির আরও এক পোষ্য ম্যাক্স। আর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চিকুর ছবির সামনে রাখা তাঁর প্রিয় খাবার ও ট্রিকস। সবকিছু মিলিয়ে শিশু দিবসের দিন মিমির মন ভালো নেই।
অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি যে কতটা তাঁর পোষ্যদের ভালোবাসেন তা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়। উৎসবের সময়টুকুও মিমি তাঁর পোষ্যদের নিয়েই কাটান। চিকু ছিল মিমির খুবই আদরের ল্যাব। একেবারে ছোট বয়সেই চিকু আসে মিমির কাছে। তারপর থেকেই মিমি তার মা হয়ে ওঠে। চিকু ক্যান্সারে আক্রান্ত যখন হয়েছিল, সেই সময় প্রিয় পোষ্যকে নিয়ে মিমি চেন্নাইও পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখান থেকে সুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়ে আসে মিমি।
সেই সময় চিকুর খবর দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমি লিখেছিলেন, 'আমার ৮ বছরের বড় ছেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত। ওর শরীরে আস্তে আস্তে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কোনও অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়।' মিমির এই পোস্টে উপচে পড়েছিল প্রার্থনা, মনখারাপ। টলিউডের প্রায় সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীরা লেখেন, 'চিকু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।' অনেকে আবার প্রথমটা বিশ্বাসই করতে পারেননি খারাপ খবরটা। আশঙ্কা সত্যি করেই সব ছেড়ে চলে গেল চিকু। মিমি প্রত্যেক বছরই চিকুর মৃত্যুদিনে যেখানে তাকে কবর দেওয়া হয়েছিল, সেখানে গিয়ে চিকুর প্রিয় খেলনা-খাবার সব দিয়ে আসেন। তার সঙ্গে রাস্তার সারমেয়দেরও খাবার খাওয়ান তিনি।
চিকু ছাড়াও মিমির আরেক পোষ্য রয়েছে। নাম ম্যাক্স। এছাড়াও চিকুর সন্তান জুনিয়র চিকুও মিমির সঙ্গেই রয়েছে। তবে আজও মিমি তাঁর সবচেয়ে প্রিয় পোষ্য চিকুকে ভুলতে পারেননি। তার জন্য আলাদাই জায়গা রয়েছে মিমির হৃদয়ে।