অভিনয় থেকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোটপর্দার রিয়্যালিটি শো দিদি নম্বর ১-এ সঞ্চালিকা হিসাবে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। এখন তো আবার রচনা ভোটের ময়দানেও পা রেখেছেন। হুগলি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে টিকিট পেয়েছেন অভিনেত্রী। দম ফেলার ফুরসৎ নেই রচনার কাছে। তারই মাঝে চলছে দিদি নম্বর ১-এর শ্যুটিং। সম্প্রতি এই শোয়ের এক পর্বের প্রোমো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে রচনা তাঁর কীর্তি ফাঁস করলেন।
সেই প্রোমোতে দেখা গেল টেলিভিশনের অল্প বয়সী অভিনেত্রীদের। যাঁরা খুব বেশি বছর হয়নি নিজেদের কেরিয়ার শুরু করেছেন। সেখানেই বীয়াস ধর কথায় কথায় রচনাকে জিজ্ঞেস করেন, আমার একটা প্রশ্ন আছে তোমাকে। তোমার তো ছেলে আছে, তুমি যখন থাক না বাড়িতে, তোমার ছেলে কতটা এনজয় করে? রচনা এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ভীষণ এনজয় করে। ছেলে বলে তুমি বাইরেই থাক। আমাকে জিজ্ঞেস করে তুমি আবার ফিরে আসবে, আবার কবে যাবে? মা না থাকলে কী কী প্ল্যান করতে পারবে সেটাই গুছিয়ে নেয়। বলেই রচনা হো হো করে হেসে ওঠেন।
ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকেই রচনা ছেলে প্রনীলকে খুব একটা সময় দিতে পারছেন না। হুগলিতেই পুরো সময়টা কাটাচ্ছেন। ছেলের কারণেই প্রথমে রচনা ভোটে দাঁড়াতে রাজি ছিলেন না। কারণ ছেলে প্রণীল সবে উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছে। কাজের বাইরে রচনা ছেলেকে নিয়েই সময় কাটান। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস পাওয়ার পরই রচনা হুগলি কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে রাজি হন।
আগেও এই মঞ্চে ছেলেকে নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন অভিনেত্রী। কিছু দিন আগে ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চেই প্রণীলের প্রেমের প্রসঙ্গ ওঠে। যা শুনে অবাক হয়ে যান অভিনেত্রী। বলেন, “আমার ছেলের প্রেম আমি ভাবতেই পারছি না। ও তো এখনও ছোট।” যদিও জানিয়েছিলেন, ছেলে নাকি মায়ের সঙ্গে শুতে চায় না রাতে। আলাদা শোওয়ার বাহানা বানায়। তবে সব আলোচনা নিছকই মজা। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয়, তবে তাঁর জীবনে প্রণীলই যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, তা তাঁর বিভিন্ন পোস্ট থেকে স্পষ্ট। হুগলিতে এই মুহূর্তে জোর কদমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন রচনা। রোজই কোনও কোনও স্থানীয় খাবারে মুগ্ধ হচ্ছেন অভিনেত্রী।